২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৬ দিন ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা প্রজ্ঞাপনে বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, পবিত্র রমজানের ছুটি শুরু হবে ২ মার্চ। এসময় ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা ও স্বাধীনতা দিবসসহ অন্যান্য ছুটি মিলিয়ে টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে।
দীর্ঘ এই ছুটির পর ৮ এপ্রিল ক্লাস শুরু হবে। এছাড়া, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য ১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত টানা ১৫ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। দুর্গাপূজায় ৮ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে লক্ষ্মীপূজা ও ফাতেহা-ই-ইয়াজ দহমসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত।
প্রতি বছরের মতো এবারও প্রধান শিক্ষকের জন্য সংরক্ষিত তিনদিনের বিশেষ ছুটি রাখা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রধান এই ছুটি বরাদ্দ করতে পারবেন। এছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান উপলক্ষে নিয়মিত ছুটি থাকবে।
শিক্ষা ছুটিতে আরও বলা হয়েছে:
১. শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ সাল পর্যন্ত। সরকার ঘোষিত নির্দেশনার আলোকে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করতে হবে।
২. উল্লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা, প্রাক নির্বাচনি পরীক্ষা, নির্বাচনি পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময় ১২ কর্মদিবসের বেশি হবে না।
৩. স্ব-স্ব বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ব্যতীত) নিজেরাই প্রণয়ন করবেন। কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
৪. পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
৫. সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার ও শনিবার) ব্যতীত বছরে মোট ছুটি থাকবে ৭৬ দিন।
৬. কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত বা পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।
৭. ছুটিকালীন অনুষ্ঠেয় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন ও অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।
৮. এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্র ব্যতীত অন্যান্য বিদ্যালয়সমূহে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।