আওয়ামী লীগ নেতার হু’মকি ‘পুলিশ যদি আসে, তোরে আমি খাইছি’

রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান মোস্তাকের হুমকি ও অশালীন ভাষার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এতে তিনি এক গ্রামবাসীকে ‘জবাই করে ফেলার’ হুমকি দিয়ে বলেন, পুলিশ যদি আসে, তোরে আমি খাইছি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে স্থানীয় বাসিন্দা চেনোরুদ্দিনকে উদ্দেশ করে তিনি হুমকি ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা যায়।

ভিডিওটি ইতিমধ্যে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা শেয়ার করেছেন। একপর্যায়ে ভিডিওতে মোস্তাককে বলতে শোনা যায়, আমি মেম্বার, আমি বিচারক। আমি যে রায় দিছি, সেই রায় ঢুকতেছে না? তোর চেইন তোর মাইজা মেয়ে চুরি করছে—এইটাই রায়।

এছাড়াও হুমকির সুরে বলেন, এই তারিখে যদি আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, আমি বাইর‌্যাবো। এক মাস, দুই মাস পরে হলেও বাইর‌্যাবো। তোরে জবাই করে তবেই যাব। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইউপি সদস্য মোস্তাক দীর্ঘদিন ধরে

এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্মে জড়িত। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর বসানো, জমি দখল, নারী নির্যাতন এবং মসজিদের গম আত্মসাতের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের উপর হামলা মামলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আবারও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ভিডিও প্রকাশকারী মোস্তফা আমির ফয়সাল জানান, সাইদুর রহমান মোস্তাক সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তার অপকর্মের বিচার চাই।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোস্তাক বলেন, এটি কয়েক মাস আগের ভিডিও। এলাকায় সোনা চুরি হয়। পরে শালিসে এক মেয়েকে অভিযুক্ত করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সে ঘটনায় উত্তেজনার সময় কথা বলেছিলাম।

খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাদের মোল্যা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *