
ভারতের সাথে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কা ঘিরে পাকিস্তানকে সরাসরি অস্ত্র জোগান দিচ্ছে তুরস্ক। এর অংশ হিসেবে এরই মাঝে অস্ত্রশস্ত্রবাহী অন্তত সাতটি সামরিক বিমান তুরস্ক থেকে পাকিস্তানে পৌঁছেছে। ২৮ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে প্রভাবশালী ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস-ওয়ানহান্ড্রেড-থার্টি কার্গোবিমান করাচিতে অবতরণ করেছে। এতে নানা রকম সামরিক সরঞ্জাম ছিল। তুরস্ক পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দিচ্ছে, এটি তারই ইঙ্গিত বলে দাবি করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। এটিকে বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ বলে উল্লেখ করেছে তারা।
অন্যদিকে ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতে তুরস্কের আরো ছয়টি ওয়ানহান্ড্রেড-থার্টি কার্গোবিমান পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে দাবি তাদের।
তুর্কি ও পাকিস্তানি উৎসের বরাত দিয়ে ভারতীয় এ গণমাধ্যম আরো জানায়, এসব উৎস থেকে সামরিক বিমানগুলো অবতরণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনা ঘিরে দিল্লি ও ইসলামাবাদের উত্তেজনার প্রেক্ষাপটেই তুরস্ক এমন পদক্ষেপ নিলো বলে অভিমত টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এদিকে কেবল তুরস্কই নয়, চীনের সাথেও কৌশলগত সামরিক সহায়তা গভীর করছে পাকিস্তান। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দিন দিন পাকিস্তানের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক মাত্রায় প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন।
পরিসংখ্যান মতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে বেইজিং। এর মাঝে এককভাবে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্রের ক্রেতা পাকিস্তান।
এদিকে ভারতের সাথে যুদ্ধ হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থি শিখরা। কাশ্মীরে হামলা ঘিরে দিল্লি-ইসলামাবাদের চলমান উত্তেজনার মাঝে খালিস্তানপন্থী শিখ জনগোষ্ঠীর নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নু জানিয়েছেন,
যুদ্ধ শুরু হলে ২ কোটি শিখ অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে। পাকিস্তানে হামলার জন্য ভারতীয় কোনো সেনাই পাঞ্জাব পার হওয়ার সুযোগ পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহর উদ্দেশেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন পান্নু। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো তারাও গুপ্তহত্যার শিকার হবেন বলে সতর্কতা জানিয়েছেন তিনি।
পান্নু বলেন, যারা পাকিস্তানে হামলা চালায়, বাঁচতে পারে না, হোক সে ইন্দিরা গান্ধী, মোদী বা অমিত। ভারতে শিখদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ তুলে মোদিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের আন্তর্জাতিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পান্নু।
অন্যদিকে কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে মোদীর ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে বলে দাবি করেছেন খালিস্তানপন্থী এই শিখ নেতা। তার মতে, ভোটের রাজনীতিতে জেতার লক্ষ্যেই পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের মেরেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি।