
গত সপ্তাহে কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের একাধিক নেতা এবং কূটনীতিকের সাথে ফোনালাপ করেছেন। তবে, এই চেষ্টার মূল লক্ষ্য পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনা কমানো নয়।
বরং, ভারত শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে, এমনটাই জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।। ভারতীয় কর্মকর্তাদের মতে, মোদী একটি ভাষণে পাকিস্তানের
বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ও সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যদিও পাকিস্তান নাম না নিয়ে। এদিকে, দুই দেশের সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে ছোট-খাটো গুলিবর্ষণ চলেছে, যা পরিস্থিতির অস্থিরতা বৃদ্ধি করছে।
পূর্বে পাকিস্তানের জলসম্পদ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে তাদের পানি সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি পাকিস্তানের কূটনৈতিক মিশনের কিছু কর্মীকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। পাকিস্তান এই পরিস্থিতিতে তাদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কাশ্মীরের ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ (LoC) চুক্তি।
ভারত সরকারের তরফ থেকে এই সন্ত্রাসী হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদত থাকার অভিযোগ উঠেছে, যদিও কোনো শক্তিশালী প্রমাণ এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। ভারতীয় কর্মকর্তারা প্রাথমিক তদন্তে পাকিস্তানের সাথে যোগসূত্রের কিছু তথ্য পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন, তবে পাকিস্তান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিশ্বের অন্যান্য বড় শক্তিরা, বিশেষ করে ইরান ও সৌদি আরব, দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও ভারতের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছেন, যা ভারতকে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করছে।