এবার বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নিয়ে এলো যে সুখবর

বেসরকারি শিক্ষকদের নীতিমালা অনুযায়ী বদলি প্রক্রিয়া চালু করা হবে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আশা করছি চলতি বছর থেকেই শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব হবে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে আলাপকালে এসব কথা জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো: মিজানুর রহমান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা জানান, ‘এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শূন্য পদের তালিকা প্রকাশ করবে।

এরপর অক্টোবরে বদলি বিজ্ঞপ্তি এবং অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন হবে। নভেম্বরের মধ্যে বদলি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। আমরা সেটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি যেভাবে বলা আছে, সেভাবেই বদলি নীতিমালা কার্যকর করা সম্ভব হবে।’

এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জারি করা নীতিমালায় বদলির সাধারণ শর্তে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূন্যপদের

চাহিদা বা বিবরণ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করবে, প্রকাশিত শূন্যপদের বিপরীতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বদলির আবেদন আহ্বান করবে। সমপদে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলির জন্য ১ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলির আদেশ জারি হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান সম্পন্ন হবে। আবেদনকারী শিক্ষক তার চাকরির আবেদনে উল্লেখ করা নিজ জেলায় বদলির জন্য আবেদন করবেন। তবে নিজ জেলায় পদ শূন্য না থাকলে নিজ বিভাগের যেকোনো জেলায় শূন্য পদের বিপরীতে বদলির আবেদন করতে পারবেন।

শর্তের মধ্যে আরো রয়েছে-প্রথম যোগদানের পর চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করার জন্য যোগ্য হবেন। বদলি হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর ন্যূনতম দুই বছর কর্মে নিয়োজিত থাকার পর পরবর্তী বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ দুইবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে একজন শিক্ষিকা কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলির সুযোগ পাবেন। একটি শূন্যপদের জন্য একাধিক আবেদন পাওয়া গেলে জ্যেষ্ঠতা, নারী ও দূরত্ব বিবেচনায় বদলি অনুমোদন করা হবে। চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে সিনিয়রিটি গণনা করা হবে। একটি পদের জন্য প্রতিযোগী সব আবেদনকারী কর্মস্থল একই উপজেলায় হলে তাদের কর্মস্থল উপজেলার কেন্দ্র থেকে কাঙ্ক্ষিত উপজেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করে সবার জন্য প্রযোজ্য করতে হবে।

এ ছাড়া একটি পদের জন্য প্রতিযোগী আবেদনকারী বিভিন্ন উপজেলার হলে তাদের কর্মস্থল জেলার কেন্দ্র থেকে কাঙ্ক্ষিত জেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করে সবার জন্য প্রযোজ্য করতে হবে। একটি পদের জন্য প্রতিযোগী আবেদনকারী বিভিন্ন জেলার হলে তাদের স্ব স্ব জেলার কেন্দ্র থেকে কাঙ্ক্ষিত জেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করতে হবে। দূরত্ব পরিমাপের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মডেল অনুসরণ করা হবে। অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য সংবলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না। ইচ্ছাকৃত ভুল প্রমাণিত হলে শাস্তি আরোপ করা হবে। বদলির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর এনটিআরসিএ অবশিষ্ট শূন্যপদে নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করবে।

বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। মাউশির সফটওয়্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে। বদলিকৃত শিক্ষকের ইনডেক্স আগের প্রতিষ্ঠান থেকে বদলিকৃত প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার হবে। বদলিকৃত শিক্ষকের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জৈষ্ঠ্যতার ধারাবাহিকতা পূর্ববৎ বজায় থাকবে।

আদেশ জারির ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বদলি হওয়া শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন। অবমুক্ত হওয়ার পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান যোগদানের তথ্য এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ও মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অনলাইনে অবহিত করবেন। অবমুক্তি হতে যোগদান পর্যন্ত দিবসগুলো কর্মকাল হিসেবে গণ্য হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *