এবার সরে গেলেন ট্রাম্প, মোদির কপালে চিন্তার ভাঁজ?

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের উপর বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দুই দেশই পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, যা যুদ্ধের আশঙ্কা

বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্য ভারতের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার ভ্যাটিকানে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়

যোগ দিতে যাওয়ার সময় এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভারতেরও ঘনিষ্ঠ, পাকিস্তানেরও ঘনিষ্ঠ। তারা নিজেরাই কোনো না কোনোভাবে সমস্যার সমাধান করে নেবে’।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি কোনো মধ্যস্থতার আশ্বাস না দিয়ে দুই দেশের ওপর সমাধানের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে হতাশা দেখা দিয়েছে দিল্লিতে। কারণ, হামলার পর ভারতের পক্ষ

থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল এবং আশা করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেবে। কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত নতুন নয়।

দুই দেশের মধ্যে বহু বছর ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে বৈরিতা চলেছে এবং এ নিয়ে তারা একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে।

সীমান্তে টানা দ্বিতীয় রাতেও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে, যদিও হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত নয়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, যুদ্ধ বাঁধলে তা দুই দেশকেই চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় বিপর্যয় নামিয়ে আনবে।

‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার’ এর ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সামরিক শক্তিতে ভারত বিশ্বে চতুর্থ এবং পাকিস্তান দ্বাদশ। তবে যুদ্ধের ফল শুধু সামরিক শক্তির ওপর নির্ভর করে না; ভূগোল, অর্থনীতি, মনোবল ও কূটনৈতিক অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, তারা যেকোনো আন্তর্জাতিক তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি এও অভিযোগ করেছেন, ভারত এ হামলাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়। ইসলামাবাদ বলছে, তারা যুদ্ধ চায় না, কারণ তা পুরো অঞ্চলের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীর ইস্যুতে নতুন করে যুদ্ধ বাধলে তা শুধু ভারত ও পাকিস্তান নয়, আশেপাশের দেশগুলোর উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই দ্রুত কূটনৈতিক সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=tGll13_1vTk

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *