আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ঐ দিন ৫ আগস্টের মতো সবাইকে মাঠে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
রাজধানীর বাংলামোটরে এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার এ আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র বিগত দিনের সিস্টেমগুলোকে বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে। এরইমধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সংশোধনী ও পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। জুলাই বিপ্লবে যেসব রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছিলো সবার কাছেই পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পরপরই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না দেওয়ায় বিপ্লব পরবর্তী সময়ে নানা সময়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে।
বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো আস্ফালন দেখাচ্ছে। যেখান থেকে ১ দফার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকেই ৩১ ডিসেম্বর নতুন বাংলাদেশের ঘোষণা হবে। তিনি জানান, পরবর্তী বাংলাদেশের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে।
তিনি বলেন, ৭২ এর সংবিধানের বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসে উঠেছে, সেটাকে ধারণ করে মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচনা করা হবে ৩১ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া বিচার নিশ্চিতের ইশতেহারও থাকবে ঘোষণাপত্রে। এ সময় তিনি ৫ আগস্টের মতো ৩১ ডিসেম্বরও সবাইকে মাঠে নেমে আসার আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ৫ আগস্ট বিভিন্ন বাঁধার কারণে যারা রাজধানীতে আসতে পারেন নি তারা সকলেই ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় চলে আসবেন। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে জাতীয় শহিদ মিনার থেকে নতুন বাংলাদেশের ঘোষণা দেওয়া হবে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরপর একই ধরনের দুটি পোস্ট দেওয়া হয়।
প্রথম পোস্টে লেখা হয়, ‘৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, বিপ্লবীরা প্রস্তুত তো?’ পরের পোস্টে ইংরেজিতে লেখা হয়, ‘প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন’। একই ধরনের পোস্ট দেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও।