
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত হলেন কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারী। স্ত্রী ও আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে তিনি এই নির্মম হামলার শিকার হন। জঙ্গিরা তাদের পরিচয় জানার পরই হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
ছেলের চোখের সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান বিতান। এই মর্মান্তিক ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় যখন বিতানের মরদেহ কলকাতায় পৌঁছায়, তখন উপস্থিত জনতার মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিহতের স্ত্রীর কান্নাভেজা আর্তি শুনে তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
তিনি বলেন, “ছেলের সামনেই বাবাকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। শুধু হিন্দু বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হিন্দুস্তানে হিন্দুকে খুন করবে? গাজাকে যেমন ইসরায়েল শেষ করেছে, আমরাও ওদের শেষ করব। নাম-নিশান মুছে দেব।”
নিহতের স্ত্রী সোহিনী অধিকারী স্বামীর মরদেহ দেখে ভেঙে পড়েন। কোলে সন্তান, চোখে অশ্রু—তার শোকগ্রস্ত অবস্থায় উপস্থিত অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। শিশুটি এখনও ঘটনার ঘোরের মধ্যেই রয়েছে।
বিতান অধিকারী কর্মসূত্রে ফ্লোরিডায় থাকতেন। ছুটিতে দেশে এসে পরিবার নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) তাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সেই ফেরা আর হলো না।
এই ঘটনা সন্ত্রাসবাদবিরোধী পদক্ষেপের দাবিকে আরও জোরালো করেছে। শুভেন্দু অধিকারী প্রশাসনের প্রতি সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানান।