৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এক নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সংসদ ভবনে। নিরাপত্তাহীনতা ও উত্তেজনার মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি এবং স্পিকার আটকে পড়েন ভবনটিতে। চারপাশে মুক্তিকামী জনতা তাদের ঘিরে
ফেললে তারা আতঙ্কিত হয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় সংসদ ভবনের গোপন কক্ষে আশ্রয় নেন। সংসদ ভবনে আটকে পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৈৗধুরী, সাবেক স্পিকার শামসুল হক টুকু,
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ আরও কয়েকজন। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা তারা সংসদ ভবনের গোপন কক্ষে অবস্থান করেন। আতঙ্কে অনেকে দোয়া-দরুদ পড়তে শুরু করেন।
পরিস্থিতি যখন আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠছিল, তখন সেনাবাহিনীর একটি দল সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৈৗধুরী উদ্ধার করে নিরাপদে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়। আর বাকীরা বিভিন্ন কৌশলে পালিয়ে যায়।
সংসদ ভবন ঘিরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ এবং বিক্ষোভ ক্রমেই বেড়ে চলছিল। তবে সেনাবাহিনীর সফল হস্তক্ষেপে কোনো বড় ধরনের অঘটন ছাড়াই এই নেতাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থানা পুলিশ নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় আত্মগোপনে থাকাবস্থায় ১২তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু,
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৈৗধুরীর অবস্থান অজানা।
সরকার পতনের পর কীভাবে এসব নেতারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করবেন এবং পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এই ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন দিক উন্মোচন করেছে।