
ভারতের ওপর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এক ভারতীয় সাংবাদিক। এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে আমদানি করে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, আর ভারত বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে মাত্র ১.৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
তিনি আরও বলেন, চলতি এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ, তৃতীয় দেশে মাধ্যমে জলপথে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মোদি সরকার। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী ইউনূস সরকার স্থলপথে একাধিক ভারতীয় পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে,
যা হতবাক করে দেয় ভারতীয় ব্যবসায়ী মহলকে। ভারতীয় সাংবাদিক উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে ব্যবহৃত প্রায় ৯৫ শতাংশ সুতো ভারত থেকে আমদানি করা হতো। এছাড়াও ভারত থেকে বাংলাদেশে আসত ইলেকট্রনিক পণ্য,
ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, আলু, দুধ, পাউডার মিল্ক, টেলিভিশনের যন্ত্রাংশ, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ, মার্বেল, টাইলস, সিরামিক ও তামাকজাত পণ্য।
এসব পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ সরকার, যার ফলে ভারতের বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন— এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ভারতীয় গণমাধ্যমে কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না?
তার মতে, বিষয়টি সামনে এলে মোদি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে। অন্যদিকে ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের বিচক্ষণতা তুলে ধরতে তিনি বলেন,
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ‘টাইম’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ‘লিডারশিপ’ ক্যাটেগরিতে স্থান পেয়েছেন।
এছাড়াও, “অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?” অর্থাৎ, ভারতীয় মিডিয়া ড. ইউনূসের বিচক্ষণতা স্বীকার না করলেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্র: https://web.facebook.com/reel/520128624500025