
ভোলার দুলালহাট আবুবকরপুর গ্রামে ঈদ করতে এলে মো. মাকসুদুর রহমান মাসুদকে (৩৮) ২ লাখ টাকা চাঁদার জন্য কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার মামলায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিনকে ঢাকার মতিঝিল থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি ও পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, জেলার দুলারহাট থানার হাসানগঞ্জ এলাকায় ঈদ করতে বাড়িতে আসেন ঢাকার সাভারের সবজি বিক্রেতা মাসুদ।
ওই সময় মাসুদ ও তার ভাইদের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করেন আল-আমিন। না দেওয়ায় ৩০ থেকে ৪০ জন লোক নিয়ে কয়েক দফা তাদের বাড়িতে হামলা করা হয়।
সর্বশেষ ৪ এপ্রিল আল-আমিন দলবল নিয়ে হামলা করে ঘরবাড়ি লুট করার পাশাপাশি কুপিয়ে হত্যা করেন মাসুদকে। এ ঘটনায় মাসুদের ভাই রায়হান বাদী হয়ে দুলালহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আল-আমিন তার ভাইয়ের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ঘটনার পর ৯ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যান আল-আমিন।
এদিকে ওই ঘটনার পর আল-আমিনকে স্বেচ্ছাসেবক দলের পদ ও সদস্য থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির আলম রবিন চৌধুরী।
পরে পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হকের নির্দেশে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঢাকার ডিবি পুলিশের সহযোগীতায় শুক্রবার মতিঝিল এলাকা আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে তাকে ভোলায় আনা হয়।
উল্লেখ্য, চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।