
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দ্রুত করণীয় কিছু বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ’ শীর্ষক একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি। গতকাল বুধবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এই চিঠি ড. ইউনূসকে দেওয়া হয়। এদিন দুপুর ১২টার পর যমুনায় বৈঠক শুরু হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভূত্থান,
একাত্তরের মহান মুক্তিযদুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন, সামরিক স্বৈরাশাসনের অবসানে ৯০’র ছাত্র-গণঅভূত্থানের পথ ধরে প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের অবিরাম লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক জনতার অভূতপূর্ব ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে বাংলাদেশ ফ্যাসীবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে।
শাসকদের প্রধানসহ তার অসংখ্য সহযোগী পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছে; আর অবশিষ্টরা হয় বন্দী হয়েছে কিম্বা আত্মগোপন করেছে।
উল্লিখিত লড়াইয়ে প্রতিটি পর্যায়ে অসংখ্য আন্দোলনকামী মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছে। শুধু বিগত ১৬ বছরের লড়াইয়ে ১৭ শতের বেশী বিরোধী নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন, সহ¯্রাধিক খুন হয়েছেন এবং ৬০ লাখেরও বেশি নেতা-কর্মী আহত, পঙ্গু এবং গায়েবী মামলায় কারারুদ্ধ ও সীমাহীন হয়রানীর শিকার হয়েছেন। একমাত্র ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের যুগান্তকারী গণঅভূত্থানে নেতৃত্বের সামনে থাকা ২সহ¯্রাধিক তরুন ও ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমিক, এবং নারী ও শিশুসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন, আহত ও পঙ্গু হয়েছেন আরও কয়েক হাজার নারী পুরুষ-শিশু। ফ্যাসীবাদের পতন এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এমন ধারাবাহিক লড়াই যে কোন জাতির জন্য অসীম আত্মত্যাগ ও সাহসী লড়াইয়ের এক গৌরবজনক ইতিহাস।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র ও মানবিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিটি লড়াইয়ের নেতৃত্ব দানকারী কিম্বা গর্বিত সক্রিয় অংশীদার হিসাবে বিএনপি তার অবস্থান থেকে প্রতিটি লড়াইয়ের সুফল জনগণের জন্য কার্যকর করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে এবং করছে। সেই লক্ষ্যেই এবারও জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূত্থানের সুফল জনগণের কল্যাণে এবং তাদের আকাক্সক্ষা পূরণে নিবেদিত করার টেকসই ক্ষেত্র প্রস্তুতের লক্ষ্যে দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপরিচালনার ভার নিজ যোগ্যতায় দেশ-বিদেশে বরেণ্য, নিষ্ঠাবান, দল নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসাবে আপনার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠায় আমরা সমর্থন জানিয়েছি এবং দায়িত্ব পালনে আপনাকে পূর্ণ সহযোগীতার আশ^াস দিয়েছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
আপনার ও আপনার নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রায় দেড়যুগ ধরে গণতান্ত্রিক অধিকারহীন জনগণের স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল যত দ্রুত সম্ভব ফ্যাসীবাদী দল, তাদের দলীয় সরকার ও তার দোসরদের আইনের আওতায় এনে তাদের গণবিরোধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার, দূর্নীতি-অনাচারের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুণ্ঠুণকারীদের বিচার ও পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের, ফ্যাসীস্ট সরকারের হাতে নিহত ও আহদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপুরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং দ্রব্যমূল্য ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পতিত সরকারের সব অপচক্র ও সিন্ডিকেট ধ্বংস করার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া- যাতে তারা সম্মিলিতভাবে দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি, উন্নত অর্থনীতি এবং জনগণের মানবিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব চিঠিতে বলেন, পতিত ফ্যাসীবাদী সরকার দেশের সংবিধান, আইন, বিধি, প্রতিষ্ঠান এমনকি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এমন ভাবে কলুষিত করেছে যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনেক বিষয়েই পরিবর্তন ও সংস্কার সাধন অনিবার্য্য। এ ব্যাপারে আপনাদের সরকারের উদ্যোগের প্রতি আমরা সমর্থন জনিয়েছি-সহযোগীতা করছি।
বিএনপি মনে করে যে, জনগণের স্বার্থরক্ষা ও স্থায়ী কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য গণতান্ত্রিক শাসনের বিকল্প নেই। আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংস্কার একটি সদা চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া। বিগত ফ্যাসীবাদী পতিত সরকারের মত “আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র” যেমন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অপকৌশল ছিল এখনও কিছু ব্যক্তি ও গোষ্টির “আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্র” তেমনি ভ্রান্ত কূটতর্ক। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার মাধ্যমেই সবার জন্য উন্নয়ন সম্ভব এবং এ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা, আইন, নীতি, বিধানের সংস্কার অপরিহার্য্য। এর সবগুলো পরস্পরের পরিপূরক, কোনটাই কোনটার বিকল্প নয়; পরস্পর সাংঘর্ষিকও নয়।
এতে আরো বলা হয়, এদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির ইতিহাসে প্রায় সবগুলো যুগান্তকারী সংস্কার কিম্বা ইতিবাচক পরিবর্তন বিএনপি’র হাত ধরেই এসেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন, উপবৃত্তি চালুসহ নারী ও কারিগরি শিক্ষা, দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান, মুক্ত বাজার অর্থনীতি, কৃষি উন্নয়ন, চিকিৎসা সেবা, পল্লী বিদ্যুতায়ন, অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানী, সমুদ্র মৎস শিকার থেকে শুরু করে স্বেচ্ছা শ্রমে খাল-নদী খনন, গ্রাম সরকার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, সমবায়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ এমন হাজারো দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা যায়।
যখন এদেশের কোন রাজনৈতিক দল সংস্কারের বিষয়ে কোন কথা বলেনি তখনও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচী, নির্বাচন কমিশন শাক্তিশালী করনে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর এবং ১০ মে ২০১৭ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা এবং আন্দোলনের রত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচী ঘোষণা উল্লেখযোগ্য।
আজ যারা সংস্কারের কথা বেশী বেশী বলে এবং বিএনপি’কে সংস্কারের বিপক্ষের শক্তি বলে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করছে তাদের ভিশন-২০৩০ এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচীতে যেসব সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে ও যে সব পরিবর্তনের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ৩১ দফায় বিএনপি বলেছে এসব প্রস্তাবের চেয়ে ভাল কোন প্রস্তাব কেউ দিলে জনস্বার্থে তা সাদরে গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া বিএনপি’র ঘোষণারই অংশ। বিএনপি মনে করে যে, সব পরিবর্তনই সংস্কার নয়। সংস্কারের উদ্দেশ্য ইতিবাচক ও গঠনমূলক পরিবর্তন। এ ব্যাপারে বিএনপি সব প্রস্তাব নিয়েই যুক্তিগ্রাহ্য আলোচনারকে স্বাগত জানায়। কিন্তু দল কিম্বা গোষ্ঠীস্বার্থে এবং রাজনীতি কিম্বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে হেয় ও অপ্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টায় অযথা সময়ক্ষেপন করে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার তথা রাষ্ট্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার কৌশলকে বিএনপি সমর্থন করেনা। দেশ ও জনগণের স্বার্থে জনগণের সম্মতি নিয়ে ৩১ দফায় বর্ণিত এবং ঐকমত্যে গৃহিত সব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করে।
বিএনপি মহাসচিব চিঠিতে বলেন, ইতোপূর্বে গত ২১ নভেম্বর ২০২৪ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আমরা আপনাকে লিখিতভাবে আমাদের কিছু উদ্বেগের কথা এবং কিছু পরামর্শ জানিয়েছিলাম। র্দূভাগ্যক্রমে সেসব বিষয় আপনাদের অবস্থান আমরা জানতে পারিনি কিম্বা এসব বিষয়ে কোন আলোচনাও হয়নি। উল্লেখ্য যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা বৈষম্যের শিকার ও পদোন্নতি বঞ্চিত প্রশাসন ক্যাডারের ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে সচিবসহ বিভিন্ন পদে ভুতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয়া হলেও তাদের একজনকেও এখন পর্যন্ত পদায়ন না করে পতিত সরকারের অপশাসনের দোসর ও সুবিধাভোগীদের দিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করার ফলে সরকারের কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রয়াস ব্যহত হচ্ছে। অন্যান্য ক্যাডারে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ভুতাপেক্ষ পদোন্নতি ও পদায়ন নিশ্চিত করা যৌক্তিক বিধায় তা দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরী বলে আমরা মনে করি।
আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি যে, যে কোন রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী ও তার সরকারের বক্তব্য ও মতামতে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি এর কিছু ব্যতিক্রম আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। আমরা আপনাকে সমর্থন জানিয়েছি এবং আপনার উপরই আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু আপনার সরকারের কিছু ব্যক্তি এবং আপনাকে সমর্থনকারী বলে দাবীদার কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রকাশ্য ব্যক্তব্য ও অবস্থান জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আশা করি আপনি এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
আমরা আগেও বলেছি এবং এখনও বলতে চাই যে, দেশের জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার যে মহান দায়িত্ব আপনার উপর অর্পিত হয়েছেÑযত দ্রুত সম্ভব আপনি তা পালন করবেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যে সব আইন, বিধি, বিধান সংস্কারে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহে যেসব পরিবর্তন জরুরী তা সম্পন্ন করার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব বলে আমরা মনে করি। এ ব্যাপারে ইতোপূর্বে আপনার সাথে সাক্ষাৎকালে প্রদত্ত আপনারই আশ^াস অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমরা আপনার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এনআইডি প্রকল্প নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার এবং নির্বাচনী এলাকা পুনঃনির্ধারনের বিষয়ে আইনী জটিলতা দ্রুত নিরসনেরও প্রস্তাব করছি। একই সাথে পতিত ফ্যাসীবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সাথে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রুত করে রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার; জুলাই-আগষ্ট অভূত্থানে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার এবং দ্রব্যমূল্য ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের অধিকতর উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে ১/১১’র অবৈধ সরকার এবং পতিত ফ্যাসীবাদী সরকারের আমলে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী পুনঃর্ব্যক্ত করছি।
আমরা আপনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সকল ইতিবাচক কর্মপ্রয়াস সমর্থন প্রদান অব্যহত রাখার সিদ্ধান্ত পুর্ণব্যক্ত করে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ যথাশীঘ্র ঘোষণার মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট সকল বিভ্রান্তি অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি।