
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকার একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের অর্থনীতিকে সংকটে ফেলছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক বুদ্ধির কারণে ভারত সরকার শেষমেশ বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
এই পদক্ষেপটি ভারতীয় বন্দরগুলোর উপর চাপ বাড়িয়েছে এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০২০ সালের জুনে ভারত বাংলাদেশকে এক বিশেষ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছিল, যার ফলে বাংলাদেশ সহজে পণ্য রপ্তানি করতে পারছিল। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সুবিধা বাতিল করার ঘোষণা দেয়। ভারতের দাবি, বাংলাদেশের পণ্য ট্রান্সশিপমেন্টের কারণে তাদের বন্দরে দীর্ঘ সময় ধরে জটলা তৈরি হচ্ছিল, যা ভারতের নিজেদের রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করছিল।
তবে অনেক অর্থনীতিবিদ এবং বাণিজ্য বিশেষজ্ঞের মতে, ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিজিএমই এর সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, “এটা ভারতের জন্য একটি বড় ভুল সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ কিছুটা চাপের মধ্যে পড়বে, তবে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
বাংলাদেশ ফ্রেড ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন (বাফার) সভাপতি কোভিদ আহমেদও এই মত পোষণ করেন, “প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে কিছুটা চাপ আসতে পারে, তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করা হবে। আর ভারতের রাজস্ব হারানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি।”
এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক কৌশল এবং দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আরও দৃঢ় অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছে।
এই সংকটে, ভারতীয় অর্থনীতির প্রতি দেশের নেতিবাচক সিদ্ধান্তগুলো আরও বড় সমস্যার সৃষ্টি করছে। অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, ভারতের এই ভুল নীতির কারণে দেশটির অর্থনীতি এক ধাপ পিছিয়ে যেতে পারে, এবং শীঘ্রই ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো সংকটময় হতে পারে