
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক পোস্টে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদস্যদের জামিন না পাওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, বিডিআর পরিবারের সদস্যরা গত দুই দিন আগে রাস্তায় আন্দোলন করেছিলেন,
কারণ তাদেরকে ৮ মাস ধরে জামিন থেকে বঞ্চিত করে আদালতে ঘুরানো হচ্ছে। এই আন্দোলনের জন্য পুলিশ তাদের মারধর করেছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
ইলিয়াস হোসেনের পোস্ট অনুযায়ী, গত ১০ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য থাকলেও বিচারক অসুস্থতার অজুহাতে তা পুনরায় স্থগিত করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে এই বিচারক পূর্বেও একইভাবে পাঁচ দফা শুনানি পেছানোর ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার মতে, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও ক্যান্টনমেন্ট কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনায় এই অবিচার চলছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “এই রশিকতার পেছনে কারণ একটাই – পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারত, আওয়ামী লীগ ও সেনাবাহিনীর ভারতীয় এজেন্টদের রক্ষা করতে হবে এবং নিরীহ বিডিআর সদস্যদের ধুঁকে ধুঁকে জেলে মারতে হবে।” তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, “যদি বিডিআর সদস্যদের মধ্যে কেউ অপরাধী থাকে, তাদের ফাঁসি দিলে তার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোন আইনে তাদের জামিন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে?”
ইলিয়াস হোসেন সেনাবাহিনীকে রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে লিখেছেন, “যদি এই সময়ের মধ্যে বিডিআর জওয়ানদের জামিন আদেশের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অনেক অজানা তথ্য আমি প্রকাশ করব, যা এর আগে কখনও বলিনি।”
তিনি দাবি করেন, “মৃত মানুষের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এবং সেনাবাহিনীকে বিতর্ক থেকে রক্ষা করতে আমি অনেকদিন ধরে ধৈর্য ধরে এসেছি। কিন্তু সেনাবাহিনী ধৈর্যের সব সীমা অতিক্রম করেছে।”
তিনি তার পোস্টের শেষে লিখেছেন, “রোববার রাতে আপনারা জানতে পারবেন আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি হবে।” এই পোস্টে ইলিয়াস হোসেন বিডিআর সদস্যদের প্রতি সমর্থন এবং বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতি অবিচারের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
একইসাথে তিনি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অপ্রকাশিত তথ্য ফাঁস করার হুমকি দিয়েছেন, যা এই ইস্যুতে নতুন করে উত্তাপ সৃষ্টি করতে পারে।