ছু’রিকাঘাতে তরুণ আইনজীবী হ’ত্যা, উত্তাল মৌলভীবাজার!

মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সুজন মিয়া (৩৮) হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে জেলার আইনজীবী সমাজ। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে তারা আদালত বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।

দুপুরে জেলা জজ আদালত থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের চৌমুহনা হয়ে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা সেখানে থাকা ফুচকার কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন।

এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের সরকারি বাসভবনের সামনে ফুচকার দোকানে বসে থাকা অবস্থায় সুজন মিয়াকে পাঁচ থেকে ছয়জন কিশোর গ্যাং সদস্য ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সুজন মিয়া মৌলভীবাজার পৌরশহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. জহিরুল ইসলামের পুত্র।

এলাকাবাসী জানান, এই ফুচকার দোকানগুলো ঘিরেই বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের আড্ডা ও অশান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইনজীবীদের দাবি, ফুচকার দোকান ঘিরেই কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে এবং সেখান থেকেই সুজন মিয়াকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। তারা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদের দাবি জানান।

জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী সুজন মিয়াকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। একই সঙ্গে রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ ফুচকার দোকানগুলো অপসারণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ। যদি প্রশাসন আমাদের দাবি মানতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা লাগাতার কোর্ট বর্জনসহ কঠোর আন্দোলনে যাব।’

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়ামুল হক বলেন, ‘এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে জানান, ‘ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। এখনো থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *