
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে লামকাইন ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঈদগাহ মাঠ এলাকায় রোববার ও ঈদের দিন সোমবার ১৪৪ ধারা জারি করে নামাজ আদায় বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনএম আবদুল্লাহ-আল-মামুন এ আদেশ জারি করেছেন।আদেশে বলা হয়েছে, ঈদের নামাজ আদায় নিয়ে একাধিক পক্ষের মধ্যে বিরোধ
দেখা দেওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ১৪৪ ধারার আওতায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল) জনসাধারণের ওপর বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।আদেশে আরও বলা হয়েছে, ঈদগাহ মাঠ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন,
লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, মাইকিং বা উচ্চ শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েত, সভা-সমাবেশ ও মিছিল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
এ সংক্রান্ত আদেশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী, ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে এবং থানার ওসিকে এলাকা ও আশপাশে আদেশ প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শত বছরের পুরনো লামকাইন ঈদগাহ মাঠে বিগত ২০-২১ বছর ধরে ঈদের নামাজের ইমামতি করছেন মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী। হঠাৎ এলাকায় কিছু লোকজন তাকে বাদ দিয়ে অন্য একজন ইমামের ইমামতিতে নামাজ পরতে চান।
এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ইমাম বিরোধের জের ধরে কিছুদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঈদের নামাজ পড়া ইমামকে কেন্দ্র করে লামকাইনবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ায় গোটা গ্রামবাসীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এনএম আব্দুল্লাহ আল মামুন ও পাগলা থানার ওসি মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।