
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নিজ বাড়িতে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের বারৈজঙ্গল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তা বেগম ওই এলাকার মান্নান গাজীর স্ত্রী। ভেদরগঞ্জ থানার ওসি পারভেজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় নিহতের রক্তাক্ত দেহ খাটের ওপর পড়ে আছে। আর তার মাথা খাটের নিচে ঝুলছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার গলার রগ কেটে গেছে, যা মৃত্যুর কারণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতের স্বামী মান্নান গাজী দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি দেশে এসেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি।
নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রীর গলা কাটা নিথর দেহ পড়ে আছে খাটের ওপর। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ডাকাত ঢুকেছে বলে ঘোষণা দেন। পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মান্নান গাজী বলেন, ‘আমি নামাজে গেছিলাম। নামাজ পইড়া আইয়া দেহি মুক্তা নাই। এমন কইরা মাইনষে মাইনষেরে মারে না। আমার এই ক্ষতি কেডা করল? কিয়ের লাইগা করল।
আমারে একা কইরা দিল। আমারে কে নামাজের লাইগা ডাকবো? আমারে কে সেহরি খাওনের লাইগা উডাইবো? কাইলকাও আমার লাইগা রুডি বানাইয়া আমারে খাওয়াইলো। যারা যারা মুক্তারে মারছে আমি ওগো বিচার চাই, ওগো ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, নিহতের গলার সামনে ও পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলার রগ কেটে যাওয়ায় তিনি মারা গেছেন। এটি ডাকাতির ঘটনা কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ ঘটনার জন্য ফরিদপুর থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।