
মাদারীপুরে মসজিদে ঢুকে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম তাজুল হাওলাদার (১৯)। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তাজুল সদর উপজেলার খোয়েজপুর টেকেরহাট গ্রামের আজিজুল হাওলাদারের ছেলে। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।
তাজুলের বড় ভাই রাজু হাওলাদার জানান, ৮ মার্চ ঘটনার দিন বেলা ১২টার দিকে বাড়ির পাশে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাজুল। তখন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কয়েকজনকে ধাওয়া দিলে তিনি ভয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
তার ছোট ভাই গোলাম রাব্বি হাওলাদার জানান, তাজুল মসজিদ থেকে বের হয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন। তখন পাড় থেকে দুর্বৃত্তরা তার মাথায় ইট ছুড়ে মারে। পরে তিনি সাঁতরে অপর পাড়ে উঠলে পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়।
এছাড়া তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ওইদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে বাড়িতে নেওয়া হয়।
রাব্বি আরও জানান, বাসায় ফেরার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আজ ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ আলম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।