
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা লাকি আক্তারকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরদিনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানান।
মঙ্গলবার রাত দেড়টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা রায় সাহেব বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জড়ো হন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ১৩ এর খুনিরা, হুঁশিয়ার সাবধান; শাহবাগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন; ল তে লাকি, তুই হাসিনা, তুই হাসিনা; শহিদেরা দিচ্ছে ডাক, শাহবাগ নিপাত যাক; ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, শাহবাগ নো মোর; শাহবাগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ সময় সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, শাহবাগ একটি ঘৃণিত নাম হয়ে থাকবে। নতুন করে আর আইডেন্টিটি তৈরি করতে পারবে না। আজকে একটা ইস্যু তৈরি করে পরিকল্পিতভাবে লাকি আক্তারদের মাঠে নামানো হয়েছে। আমরা দেখেছি, পুলিশ প্রশাসনের ওপর তারা প্রথমে হামলা করেছে। এই জগন্নাথের মাটি থেকে লাকি আক্তারকে চিরদিনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।
আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই স্বাধীনতাকে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য এক ঝাঁক ভারতীয় হায়েনা মাঠে নেমেছে। ২০১৩ সালের যেসব কুত্তা শাহবাগে ঘেউঘেউ করেছিল, তাদের আবারও পদচারণা দেখা যায়। তারা কোন সাহসে আমার দেশের পুলিশের ওপর হামলার সাহস পায়।
লাকিসহ যেসব শাহবাগিরা ২০১৩ সালে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, তাদের কেনো এখনো গ্রেফতার হচ্ছে না? আবার দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান, তাহলে আবার জুলাই বিপ্লব হবে। ইন্টেরিম সরকারকে বলতে চাই, আপনারা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
আপনারা পাড়া মহল্লায়, গ্রামে, যেখানে শাহবাগি নামক প্রাণীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, আপনারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক বলেন, আমরা দেখেছি, ২০১৩ সালে যেই লাকি আক্তাররা, ইমরান এইচ সরকাররা দেশের জনগণকে জিম্মি করে এক নারকীয় অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। যদি আবারও তারা বাংলাদেশে ২০১৩ সালের মতো নারকীয় পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, আমরা আবু সাঈদ, মুগ্ধদের মতো রুখে দিবো।