হাসিনার ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক ‘আছাদুজ্জামান’

ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অঢেল সম্পদের সন্ধান মিলেছে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার। তবে এই সম্পদের পাহাড় শুধু নিজের নামে নয়, স্ত্রী, তিন সন্তান, শ্যালক, শ্যালিকার নামেও বিপুল সম্পদ গড়েছেন সাবেক এই পুলিশ কমিশনার৷

আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার। ডিএমপিতে বদলি বাণিজ্য, ঘুষ লেনদেনে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক জমি, একাধিক ফ্ল্যাট ও সোনার দোকানের সন্ধান পাওয়া গেছে তার নামে।পূর্বাচলের নিউ টাউন, ১ নম্বর সেক্টরে সন্ধান মেলে ৬টি প্লটের।

কিছুদিন আগে বিক্রি করেছেন ২টি। দুই ছেলে ও এক মেয়ের নামে আছে সাড়ে সাত কাঠার ৩টি প্লট। ১০ কাঠার একটি প্লটে বানিয়েছেন গাড়ির শেড। এখানের একেকটি প্লটের মূল্য ৫ কোটি টাকার বেশি।

আফতাবনগরে নিয়েছেন মোট ২১ কাঠার প্লট। যার ১১ কাঠা নিজের নামে এবং বাকি ১০ কাঠা নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের নামে।সিদ্ধেশ্বরীর রূপায়ণ স্বপ্ন নিলয়ে আছে চার হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট।

যা তার মেয়ের নামে রেজিস্ট্রেশন করা। ইস্কাটন গার্ডেনে আছে আছাদুজ্জামানের স্ত্রীর ফ্ল্যাট। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি টাকারও বেশি। নিকুঞ্জের ডুপ্লেক্স বাড়ির পাশাপাশি আরও আছে বসুন্ধরা আবাসিকে ছয় তলার একটি বাড়ি। মূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি।

এছাড়া আছে জোয়ার সাহারায় ৫ কাঠা জমি, ৬ তলা বাড়ি। এবং রুপগঞ্জের কায়েত পাড়ায় এক বিঘা জমি। এখানেই শেষ নয়। রাজধানীর রুট পার্মিট কমিটির প্রধান ছিলেন আছাদুজ্জামান মিয়া।

সে সময় মৌমিতা পরিবহনকে দেওয়া হয় রুট পার্মিট। এই মৌমিতা পরিবহনের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী আফরোজা জামান এবং ভাইস চেয়ারম্যান শ্যালক হারিছুর রহমান সোহান।

তার এসব সম্পত্তির মালিকানা ও বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে আছাদুজ্জামান বলেন, ‘এই প্রত্যেকটি সম্পত্তি আমার। এগুলোর যথাযথ হিসাব সরকারকে দেয়া হয়।’

তবে তার বক্তব্যের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায়নি আয়কর বিবরণীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *