দেশের ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দিলো ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’

দেশের ব্যাংকগুলোকে ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় না কেনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মৌখিকভাবে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর ফলে ডলারের দর আরও তিন টাকা বেড়েছে।

কারণ, এতদিন ডলারের আনুষ্ঠানিক দর ছিল ১২০ টাকা। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের কয়েকজন ট্রেজারি প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দেশে গত দুই বছর ডলার বাজারে অস্থিরতা ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত চার মাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গত সপ্তাহে হঠাৎ করে ডলারের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। কিছু ব্যাংক ১২৬-১২৭ টাকায় ডলার কিনেছিল।

যদিও রেমিট্যান্স কেনার সর্বোচ্চ রেট ছিল ১২০ টাকা। ব্যাংকাররা জানান, ডিসেম্বরের শুরুতে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের জন্য সরকারি কয়েকটি ও বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংক বেশি দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনতে শুরু করে।

এতে অন্য ব্যাংকগুলোও বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়। ফলে হঠাৎ করেই ডলারের দাম বেড়ে যায়। তবে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে হঠাৎ বেশি দামে ডলার কেনায় ১৩টি ব্যাংক চিহ্নিত করে সম্প্রতি তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ

ব্যাংক। ব্যাখ্যা চাওয়ার তালিকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানার দুটি এবং বেসরকারি খাতের ১১টি ব্যাংক ছিল। এরপর ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স দর কমিয়ে আনে। গত দুই দিন মার্কেট ভালো থাকার কারণে রেমিট্যান্সের দামও কিছুটা আগের তুলনায় কমেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি একটি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, আমাদের অনেক পেমেন্টের মেয়াদ ডিসেম্বর করা হয়েছিল। তাই এই মাসে ডলারের চাহিদা বেশি।

ব্যাংকগুলো পেমেন্ট যথা সময়ে পরিশোধের জন্য বাড়তি দামে রেমিট্যান্স কিনেছিল। তবে এখন বাংলাদেশ ব্যাংক মৌখিকভাবে জানিয়েছে- ১২৩ টাকায় রেমিট্যান্স কেনার জন্য। পেমেন্টের চাপ থাকার কারণে ডলার রেট বাড়ানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *