নালিশে ব্যর্থ হয়ে এবার বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক চায় ভারত!

মরুভূমিতে বহু আশায় পানির জন্য দৌড়ানোর পর যখন কোন ব্যক্তি গিয়ে দেখে এ পানি নয় বরং বালুর বুকে আলোর খেলায় জেগেছে মরীচিকা ছল। তখন তার আর কিছুই করার থাকে না। হতাশ হওয়ার শেষ ইচ্ছেটুকু খুঁয়ে তিনি আর নিরাশ হতে পারেন না। সব ছেড়ে দেন প্রকৃতির উপর।

ভারতেরও হয়েছে সেই দশা। যাকে অবারিত তৃষ্ণার জল ভেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোটি টাকার জ্বালানি পুড়িয়ে হাজির হয়েছিলেন মার্কিন মুলুকে ওভাল অফিসে সেখানে গিয়ে দেখলেন আসলে শীতের মেঘে গোপন কোয়াশা লেগে ছলনা উঠেছে জেগে। এ নহে বাদল।

চাতক মোদির তৃষ্ণাও তাই মিটলো না উল্টো হতাশায় গলা শুকিয়ে হয়েছে আরো কাঠ। ট্রাম্পের সাথে ওয়াশিংটনে যখন বৈঠক চলছে মোদির তখন গদির আশায় থাকা একদল মানুষের বুকের ভিতর পড়ছে আশা জলজল এই বুঝি আসছে সুখবর। ক্ষমতা হীনতা খরা ঘোচাতে আসছে কাঙ্খিত বাদল। না তেমন কিছু হলো না।

সামনে পড়ে থাকলো কেবল তপ্ত বালু। যে বালুতে পা পুড়ে খাক, গলায় পড়ে ফোসকা। কেবল সাংবাদিক সম্মেলন নয় ত্রিষিত ভারত ট্রাম্প-মোদি বৈঠকেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলেছিল। আশা ছিল হালে পানি পাওয়া যাবে।

দিল্লির অজ্ঞাত স্থানে গেল আগস্ট থেকে যার বাস তিনি হয়তো এবার বাইরের রোদ গায়ে মাখতে পারবেন। তাকে এবার মুক্তি দেবে দিল্লির দূষিত বাতাস। বাংলাদেশ না হোক আমেরিকা ভ্রমণের একটা সবুজ সংকেত হয়তো তিনি পেতে পারেন সেই সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উপরও দেয়া হতে পারে একটা বড়সড় চাপ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য সেই পথে হাঁটলেন না। শত শত বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে তার দ্বিমত আছে আবডেন আমলের বহু নীতি তিনি অস্বীকার করেছেন।

নিমিষেই বদলে দিয়েছেন নির্বাহী আদেশে। তবে ভারতীয় সাংবাদিক শেখ হাসিনার পতনের জন্য সরাসরিবাইডেন প্রশাসনের উপর দোষ চাপালে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিলেন যে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হাজির করা হয়েছে বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *