ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় যুবলীগ নেতার পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে এক তরুণীকে পু’ড়িয়ে ফেলার হ’ত্যার ঘটনা ঘটেছে।ম’রদেহের অধিকাংশ অংশ পুড়ে গেলেও, মাথা ছিল অনুপস্থিত।মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। পুলিশ ফারহান রনি নামে যুবলীগের নেতার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আখাউড়ার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার ছেলে। ফারহান রনি এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরির পর ঘটনাটি সবার নজরে পড়ে। মঙ্গলবার(২৪ ডিসেম্বর)সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে গিয়ে ওই এলাকার শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার বাড়ির পরিত্যক্ত গোয়াল ঘর থেকে পোড়া মাংসের গন্ধ এবং ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা।
ঘরে থাকা ফারহান রনি বলেন, তিনি পাতা পোড়াচ্ছেন। তবে তার কথা বিশ্বাস না হওয়ায় হাঁসের মালিক এনামুল, রোমান এবং তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল সেখানে প্রবেশ করতে চান। এসময় ফারহান তাদের মারার হুমকি দেন। সন্দেহ হওয়ায় তারা আরও কয়েকজনকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে ঘরের মেঝেতে খনন করা একটি গর্তে মরদেহ পুড়তে দেখেন।
তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনূর ইসলাম বলেন, মরদেহটির অধিকাংশ অংশ পুড়ে গেছে এবং মাথা অনুপস্থিত। প্রাথমিকভাবে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে সিআইডি ও পিবিআই টিমকে ডাকা হয়েছে।মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।হাতে চুড়ি দেখে এটি নারীর মরদেহ বলে ধারণা পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ, ফারহান রনি এর আগেও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলেন। তার মাদক কারবারির কারণে এলাকায় বহুবার সমস্যা তৈরি হয়েছে। এমন একটি নৃশংস ঘটনায় তিনি জড়িত থাকায় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।ঘটনার ভয়াবহতা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।