মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক ও পলাতক হাসিনার ভবিষ্যৎ!

মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ছয়টি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক এবং আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ—এতসব কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মোদির এই বৈঠককে ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিশেষ করে, ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী।

মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ভারতে পলাতক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ট্রাম্পের প্রচারণায় প্রভাব বিস্তারের জন্য লবিং করেছিলেন এবং কিছু বিবৃতিও আদায় করেছিলেন। এখন সেই কূটনৈতিক লবিং কাজে আসবে কিনা, সেটিই দেখার বিষয়।

বিশ্ব রাজনীতিতে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের বিশাল বাজার ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে মোদির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে, বিভিন্ন ইস্যুতে মোদি প্রশাসনও মার্কিন চাপে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কর নীতি, অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর হুমকি এবং অন্যান্য বাণিজ্যসংক্রান্ত বিষয়।

নির্বাচনী প্রসঙ্গ ও হাসিনার ভবিষ্যত নিয়ে কী ভাবছে মোদি?
বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। এ কারণেই শেখ হাসিনার দলকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ধরে রাখতে আগ্রহী মোদি প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশের দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছে, যা দেশটির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কে মোদির সফর উপলক্ষে ভারতীয় ও বাংলাদেশি প্রবাসীরা বিক্ষোভ ও সমর্থন জানাতে রাস্তায় নেমেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ কর্মীরাও মোদির মাধ্যমে মার্কিন সমর্থন পাওয়ার আশায় রয়েছেন।

এখন দেখার বিষয়, মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু কতটা গুরুত্ব পায় এবং পলাতক শেখ হাসিনা ও তার দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে মার্কিন প্রশাসন কী ধরনের অবস্থান নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *