ভারতের দিল্লিতে ব্যাপক ধর-পাকড় অভিযান, ১৭৫ বাংলাদেশি শনাক্ত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৈধ নথিপত্র ছাড়াই বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত, আটক এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পুলিশ ব্যাপক প্রচেষ্টা শুরু করেছে। দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান

চালিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ১৭৫ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে শনাক্ত করেছে।

রোববার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, “বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবৈধ বসবাস নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে আউটার ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ

দিল্লিতে বৈধ নথিপত্রবিহীন ব্যক্তিদের সনাক্ত, আটক এবং প্রত্যাবাসনের জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।” সম্প্রতি আউটার ডিস্ট্রিক্টের আওতাধীন এলাকায় দিল্লি পুলিশ একাধিক যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পুরো জেলার মধ্যে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত করতে নিবিড় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য পুলিশ ও পুলিশের স্পেশাল শাখার সমন্বয়ে একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে।

ভারতের রাজধানীতে বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে বসবাসের বিষয়টি নিয়ে দিল্লির গর্ভনরের কাছে কিছু গোষ্ঠী চিঠি দেওয়ার পর পুলিশ অভিযান জোরদার করেছে। এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতীশি কেন্দ্রীয়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লিতে “বিপুলসংখ্যক অবৈধ রোহিঙ্গা অভিবাসীদের” বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে, যা রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রী অতীশি দাবি করেছেন, দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসীদের বসবাসের এই ঘটনা বছরের পর বছর ধরে চলছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে রোহিঙ্গাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও তাদের ঠিকানা প্রকাশ করার

আহ্বান জানান তিনি। দিল্লির সরকার ও এর বাসিন্দাদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া রোহিঙ্গাদের নতুন করে আর পুনর্বাসন করা উচিত নয়। এদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দিল্লি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা ক্ষমতাসীন

আম আদমি পার্টির (এএপি) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করতে দিল্লিতে অবৈধ রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বসতি স্থাপনের সুযোগ দিয়েছে। দিল্লি বিজেপির সভাপতি এএনআইকে বলেন, “রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিরা দিল্লির নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *