সংবিধান থেকে ’জাতির পিতা’ ও ’ধর্মনিরপেক্ষতা’ বিধান বাতিল! কী বলছে সংস্কার কমিশন?

সংবিধান সংস্কার কমিশন বিদ্যমান সংবিধানের ‘জাতির পিতা’ বিধান বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিধান ব্যক্তি বন্দনাকে উৎসাহিত করে এবং স্বৈরতন্ত্রের পথ সুগম করে।

কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফ্যাসিবাদের বীজ নিহিত ছিল, যা পরবর্তীতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকে ত্বরান্বিত করেছে।

সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ অন্তর্ভুক্ত করা বিভক্তি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে এটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে কমিশন এবং সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রতিবেদনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন বলে সুপারিশ করা হয়েছে, যার মেয়াদ হবে চার বছর করে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বৈরশাসকে পরিণত করার অভিযোগ তুলে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে বিভিন্ন কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, মানবাধিকার সুরক্ষা, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, এবং ভোক্তা-সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের পাঁচ খণ্ডের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *