![](https://www.dhakasports.life/wp-content/uploads/2025/02/Untitled-60.jpg)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর লং-মার্চ আর জিয়াফতের কর্মসূচি নিয়ে লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য তার অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বলেছেন, এই কর্মসূচি অনেক আগে নেয়া। আমি এই কর্মসূচি স্থগিত করতে বলছিলাম আমাদের মাঠের টিমকে।
কারণ পরিস্থিতি ভোলাটাইল। তিনি আরো বলেন, তারা আমাকে বললো, আমরা এতো কষ্ট করে যে টাকা-পয়সা জোগাড় করলাম, বাসের ভাড়া এডভান্স করে দিলাম – সেইগুলা আমরা ফেরত পাবোনা।
আর আমাদের ধানমন্ডি-৩২ এর প্রেসার রিলিজ করা দরকার, সেজন্য কিছু পোলাপাইনদের সরায়ে নেই ঢাকা থিকা। ওরা একটু পিকনিক মুডে থাকুক।
একটা স্ট্রেসফুল প্রোগ্রামের পরে মেন্টাল রিলিফ দেয়া লাগে। আমি অনিচ্ছাসত্ত্বেও মাইনা নিলাম। প্রসাশনকে, পুলিশকে কর্মসুচীর বিস্তারিত জানাইলাম। বললাম, এইটা আমার প্রোগ্রাম।
আপনারা ছবি দেখেই বুঝতেছেন, এইটা খুবই আনন্দজনক আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হইতেছে। ফেলানি সহ সীমান্তে নিহত সকল শহীদদের বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করবে আর তাদের কবর জিয়ারত করে আসবে। আমরা স্থানীয় কালচার সেলিব্রেট করবো। গম্ভীরার আসর হবে আর কালাইয়ের রুটি খাবো।
ঢাকার সাথে আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর সমৃদ্ধ সংষ্কৃতির মেলবন্ধন হবে। এই প্রোগ্রামগুলার টাকা কই থেকে আসতেছে – এই প্রশ্ন যারা করতেছেন তাদের বলি। বিএনপির মান্নান ভূঁইয়া একটা কথা বলতেন, “তোমার পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম যদি ঠিক থাকে, তাইলে টেকা ভুতে জোগায়।”
আপনি চাইলে অনেকেই টেকা দিবে। বলতে দ্বিধা নাই, বেশীরভাগ টেকা আমাকেই জোগাড় করে দিতে হয়। আমার নিজের আয় থেকে, আর এর বাইরে বন্ধুবান্ধব, বড় ভাই, বোন উনারাই দেন। রাজনৈতিক নেতারা দেন।
বগুড়ার জিয়াফতের একটা বড় টাকা স্থানীয় বিএনপির একজন নেতা দিয়েছেন। আমার অনেক প্রজেক্ট চলতেছে, ধরেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ে করা ওয়েবসাইটের বাজেট সাত হাজার ইউরো।
এইটাও আমাকে গতকাল জোগাড় করতে হয়েছে। যারা কাজ করে তারা কাজের অর্থায়ন নিজেই সংগ্রহ করে। আমার ঢাকা ইন্সটিটিউট ফর ক্রিটিক্যাল থিংকিং এর জন্য আমাকে একটা বড় অংকের রিসোর্স জোগাড় করতে হচ্ছে।
আমি কয়েকটা শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি আরো নেবো। তার জন্য টাকা লাগে। যেকোন কাজের জন্য টাকা লাগে। বিপ্লবীরা টাকা জোগাড় করতে পারে।