মূলত কাদের দমন করতে শুরু হলো ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত অপারেশন ডেভিল হান্ট ইতোমধ্যেই রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে। যৌথ বাহিনী কীভাবে এই অভিযান পরিচালনা করবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখনও বিস্তারিত জানাননি।

তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ নজরদারি চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অপারেশন ডেভিল হান্ট মূলত তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে, যারা দেশে নাশকতা, বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার পরই সরকার এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। গাজীপুরে ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের ওপর সংঘটিত হামলার পর আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেয়,

ফ্যাসিস্ট শক্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। এই অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর বিশেষ টিম নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রয়োজনে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের সঙ্গে যোগ দেবে।

রাষ্ট্রবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করা হবে। ডেভিল হান্ট অপারেশন সরাসরি সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে পরিচালিত নয়। বরং যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, যারা জনগণের ওপর হামলা চালাতে পারে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজধানীসহ সারাদেশে এই অভিযান চলবে। ১২ জানুয়ারি থেকেই সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসিভ পাওয়ার দেওয়া হয়েছে, যা তাদের অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করে।

নতুন এই অভিযানের মাধ্যমে বিশৃঙ্খল সৃষ্টিকারীদের আরও কঠোরভাবে দমন করা হবে। অপারেশন ডেভিল হান্টের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *