দেশের মানুষ এখন আলেম-ওলামাদের ক্ষমতায় দেখতে চায়: হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব

বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, এখন থেকে ২০০ বছর আগে, এই বাংলার মনের কথা বলেছিল কুসুম কুমারী দাস। ২০০ বছর পরে, বাংলার যে আশা আকাঙ্ক্ষা, সেই আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ঘটিয়েছে জামায়াতে ইসলাম।

যে কাজ অন্যেরা কেউ করে নাই, সেই কাজ আজকে জামায়াতে ইসলামী করেছে। আজকে শহীদের যে স্মৃতি, সেই স্মৃতির বই রচনা করা উচিত ছিল সরকারের। অন্য বড় দলের, তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল অন্যান্যদের, কিন্তু সেই কাজটা তারা করে নাই।

শুধু তাই না, বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িকতার নামে, সেকুলারিজমের নামে, বহু ভন্ডামি দেখেছি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, জামায়াতে ইসলাম যে কার্যক্রম করেছে, তার কাজ প্রমাণ করে যে একমাত্র বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের একমাত্র

সাম্প্রদায়িক দল সেটা তারা প্রমাণ করেছে। শুধু আজকে না, অতীতে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে হিন্দু তীর্থযাত্রীরা জলে ডুবে মারা গেছে, তাদেরকে আমরা জানার আগেই, তারা তাদেরকে মানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

তাদেরকে সেই ব্যবস্থা করেছে। আজকে আমাদের এই দেশের রাজনীতির কথা শুনলে মানুষের মধ্যে এই করে, যে রাজনীতি করেন না। বাংলাদেশের মানুষ সেবক চায় এবং জামায়াত ইসলামী জনগণের সেবক হিসেবে সেই কাজগুলো করছে।

তিনি আরো বলেন, প্রচলিত ধারার যে রাজনীতি, সেই রাজনীতি মানুষ এখন চায় না। এখন মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে যে, এই দেশ সব সংগঠনকে দেখেছে, এই দেশের আলেম-ওলামাদের দ্বারা, ধার্মিক লোকদের দ্বারা, এই দেশ পরিচালনা হোক সেইটা চায়।

এবং আমরা চাই, যে আগামী দিনে জামায়াত ইসলামের নেতৃত্বে এই দেশ পরিচালিত হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা না, তারা দেশের সেবা করে, ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছে। যে দেশের জনগণের আমরা সেবা করতে চাই এবং সেবা করে ক্ষমতা তাদের কাছে বড় চাওয়া না, সেটা অলরেডি জামায়াতে ইসলাম প্রমাণ করে দিয়েছে।

এই দেশ স্বামী প্রণবানন্দ বলেছে যে, এটা হচ্ছে নীতি, আদর্শ এবং ধর্ম আধ্যাত্মিকতার দেশ। আমরা চাই, এই দেশ ধার্মিক লোকদের দ্বারা পরিচালিত হোক। এই দেশ আধ্যাত্মিক লোকদের দ্বারা পরিচালিত হোক।

তাহলে এই দেশ সৎ এবং আদর্শ মানুষ গড়ে উঠবে। আমরা জামায়াতে ইসলামীর আগে দুইজন মন্ত্রীকে দেখেছি, যে তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে নাই।

আমি আজকে আসার পথে একজন বলছিল, যে একজন চোর, সে চোরও চায় না, যে তার রুমের মধ্যে আরো দুইটা চোর থাক, অসৎ লোক থাক। কারণ তার চুরি করা, যেন চুরি না হয়ে যায়, তো সেই কারণে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ চায়, যে একটা সৎ, আদর্শ এবং সৃষ্টিকর্তার আইন দ্বারা এই দেশ পরিচালিত হবে, সেটা চায় এবং আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *