‘ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল’ কী হতে যাচ্ছে আজ রাতে!

গেল ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক বিরোধীদের দমননীপিড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন,

দুর্নীতি, বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহারের অভিযোগে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে দেশের তরুণসমাজ।পরবর্তীতে ছাত্রজনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে হেলিকপ্টারে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন সাবেক এই স্বৈরাচার।

ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার দিনই ভারতের দিল্লি থেকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে একটি ভাষণ দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আজ রাত ৯টায় দেয়া তার এই ভাষণ ঘিরে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে।

সমর্থকরা একে ‘রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের বার্তা’ হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে বিরোধীরা এটিকে ‘একজন ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের রাজনৈতিক চাল’ বলে মনে করছেন।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর ভিডিও, ডকুমেন্টারি ও ছবি প্রদর্শনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, তারা ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে, বাজার ও জনবহুল স্থানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চিত্র তুলে ধরবে। একইসঙ্গে, দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে এ বিষয়ে বিশেষ বুলেটিন প্রচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

হাজারো ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়ে দিল্লি পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকেই শেখ হাসিনার বাংলাদেশ বিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদে ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্রজনতার উদ্যোগ

আজ রাত ৯টায় ধানমন্ডি-৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা।

জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ এক পোস্টে লেখেন, আজ ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ এর ৬ মাস পূর্ণ হলো। এই ঐতিহাসিক দিনে বঙ্গের কসাই হাসিনা প্রকাশ্যে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কী দিনটাই না বেছে নিল! এখন আমাদের আবার জাগবার সময়। আসুন, এই ঐতিহাসিক দিনে সব ফ্যাসিবাদী উপাদান নির্মূল করি। আরেক যুগ্ম-সদস্য সচিব রাফে সালমান রিফাত লেখেন,

‘ধানমন্ডি ৩২ এর নাম চেঞ্জ করে দেন। ফ্যাসিস্ট চত্বর বা পতিত ফ্যাসিস্ট চত্বর। বা এ জাতীয় কিছু। মানুষ আজীবন ঘৃণার সাথে স্মরণে রাখুক ফ্যাসিস্টকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ৩২ এর সাথে সাথে সমাধি সৌধটাও হিসাবে রাখবেন আর কি মাথায়! ৬ মাসে একটা, এক বছরে আরেকটা। মুখ খুললেই বুলডোজার।

সংগঠনটির যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু ফেসবুক পোস্টে বলেন, আজকে যদি ৩২ শেষ না হয় তাহলে আমিই সব গুলারে চুড়ি কিনে দিবো। হয় ৩৬ না হয় ৩২।

আরেক যুগ্ম-সদস্য সচিব রাফে সালমান রিফাত লেখেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ এর নাম চেঞ্জ করে দেন। ফ্যাসিস্ট চত্বর বা পতিত ফ্যাসিস্ট চত্বর। বা এ জাতীয় কিছু। মানুষ আজীবন ঘৃণার সাথে স্মরণে রাখুক ফ্যাসিস্টকে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *