কর্মসূচী ঘোষণা দেওয়ায় আ. লীগকে উদ্দেশ্য করে নেটিজেনরা ‘আসো খেলবো’

ফেসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র থেকে রেহায় পাচ্ছে না দেশের মানুষ। একের পর এক কুটচালে ব্যস্ত, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এবার নতুন করে তার দল আওয়ামী লীগ কর্মসূচী দিয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং “দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির” বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে দলটি।

স্বৈরাচার হাসিনার দলের অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার রাতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুসছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেটিজেনরা। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে কেউ কেউ বলছেন আসো খেলবো।

আবার কেউবা তাদের পক্ষ নিয়েও কথা বলছেন। আল আমিন হালদার নামের একজন লিখেছেন, যারা হরতালের ডাক দিছে, তারা কারা? কোথায় আছে সোনা মনিরা? গণহত্যাকরীদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।

তাকবিরুল হক টিপু নামের একজন লিখেছেন, আওয়ামীলীগকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হোক। আমরা এখনো মাঠে আছি আসো খেলবো। ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনার দল আওয়ামীলীগ যেভাবে ছাত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে

পড়েছিলো এরপরও তারা কি করে সাহস পায় কর্মসূচী দেওয়ার? যে দলের নেত্রী চোরের মতো পালিয়ে গেছেন তাদের মুখে কি আর দুর্নীতি-অনিয়মের কথা মানায়? এমন মন্তব্যও করছেন অনেকে।

আওয়ামীলীগের এই দুঃসাহসিকতার পিছনে নেটিজেনরা দ্বায়ী করছেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের চুপ থাকাকে। তাদের মতে এখনো কেন গণগত্যাকারী আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কোন একশন নিলো না বর্তমান সরকার? আর অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও বা চুপ কেন আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে তাদের কর্মসূচীর বিরুদ্ধে কথা বলতে?

ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল কর্মসূচী প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলটিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘হরতালের ডাক দিলেন আর মানুষ লাফ দিয়ে পড়বে,

এমনটা হবে না। মানুষ আপনাদের শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছে। জুলাই বিপ্লবে নিহত-আহতেরা বিচার চায়।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আওয়ামীলীগের এই কর্মসূচীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *