হামাসের কাছে বন্ধি থাকাটাও ভাগ্যের, মুসলিমরা এমনই হয়

অবশেষে থামলো যুদ্ধাপরাধী ইসরাইল। বন্ধ হলো ইতিহানের নৃশংসতম হামলা। দীর্ঘ ১৫ ১৫ মাস ধরে এককথায় মানবতাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু। নিরীহ নারী শিশুকে হত্যা

করে নিষ্টুরতার রেকর্ড গড়েছে কুখ্যাত এই ইহুদি জাতিটি। জাতিসংঘ ও ইউনিসেফের নানা পরিসংখ্যান বলছে পৃথিবীর কোনো যুদ্ধে একসাথে এতো শিশু হত্যা হয়নি যতটা গাঁজায় করেছে পাষাণ্ড ইসরাইলি বাহিনী।

রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটেছে গত রবিবার। কাতার, মিশর, সৌদি আরবের উদ্যোগে সম্পন্ন হয়েছে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরোধী চুক্তি। সেই অনুযায়ী, গত রবিবার তিন পণ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি।

ধাপে ধাপে আরো ৩০ জন বন্দিকে ইসরাইলের হাতে তুলে দেবে হামাস। অন্যদিকে বিনিময়ে জেল বন্দি ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিবে ইসরাইল।

ইসরাইলি তিন নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। রবিবার গাঁজার আল সায়েরা স্কয়ারে তাদের রেড ক্রসের হাতে তুলে দেন হামাসের যোদ্ধারা। এরপর জিম্মিদের গাজায় অবস্থানরত ইসরাইলি সেনাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তারা নিরাপদে বাড়ি পৌছেছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

৪৭১ দিন জীবন ও মৃত্যেুর দ্বারপ্রান্তে ছিলেন তারা। হামাস তাদের সাথে কেমন আচরণ করেছে তাও জানিয়েছেন তিন ইসরাইলি নারী। তামের বক্তব্যে উঠে এসেছে হামাসের মানবিক আচরণের কথা।

ইসলামে বর্ণিত বিধান মতেই বন্দিদের সাথে সর্বোচ্চ সুন্দর আচরণ করেছেন হামাস যোদ্ধারা। এমন আচরণে মুগ্ধ হয়েছে জিম্মি তিন ইসরাইলি নারী। মুক্তি পাওয়া ইসরাইলি নাগরিকরা হলেন ২৪ বছর বয়সি রোমি গোনেন, তিনি নৃত্যশিল্পী।

৩১ বছর বয়সি দোরন স্ট্রেন ব্রিজার, তিনি পেশায় ভেটেনারি নার্স। এছাড়া ২৮ বছর বয়সি এমিলি দামারি, তিনি ইসরাইলি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তবে শুধু মুক্তি নয় ঘরে ফেরা বন্দিদের হাতে একটি উপহারের থলিও দিল হামাস।

হিব্রু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, বন্দি অবস্থায় থাকাকালীন পণ বন্দিদের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি রয়েছে ওই উপহারের তালিকায়। গাঁজার মাটিতে যে দীর্ঘ সময় তারা কাটিয়েছিলেন তার মধ্যে ভাল মুহূর্তগুলি যাতে স্মরণীয় হয়ে থাকে তার জন্যই এই উদ্যোগ হামাসের। উপহারের ব্যাগে তাদের বন্দি দশায় থাকা ছবি, গাঁজার ছবি এবং একটি প্রশংসাপত্র ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *