![](https://www.dhakasports.life/wp-content/uploads/2025/01/news-today-214.jpg)
নাটোর সদর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সদর থানার ভেতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে এসআই আমিনুল ইসলাম নামে এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ঘুষ নিচ্ছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রাতেই তাকে সদর থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এসআই আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে ‘হ্যান্ডশেকের বাহানায়’ ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা নিয়ে ড্রয়ারে রেখে দেন।
এই ভিডিওটি ধারণকারী অপর ভুক্তভোগী মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন।
এসময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন।
এসময় অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন ভুক্তভোগী মামুন। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেড়িয়ে আসেন তিনি। আবেদনকারী মোবারককে বারবার ফোন করে ঘুষ দাবি করেন ওই এসআই।
ভুক্তভোগী মামুন বলেন, যারাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তাদের থেকে কৌশলে পুলিশের অনেক কর্মকর্তা টাকা আদায় করেন। জুলাই-আগস্ট পরবর্তী সময়ে এসেও যদি তারা এভাবে ঘুষ নেয় তাহলে তো আর বলার কিছু থাকল না।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এসআই আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।