সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে নতুন করে যা বলছে ভারত

ভারত চায় বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ইতিবাচক পথে এগিয়ে যাক এবং দুই দেশের মানুষের জন্য এ সম্পর্ক কল্যাণ বয়ে আনুক, এমনটাই জানালেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই ইতিবাচক।সম্প্রতি ঢাকা দূতাবাসের একজন কূটনীতিককে তলব করার প্রসঙ্গেও তিনি বলেন,

ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আমাদের অবস্থান বহুবারই স্পষ্ট করেছি। আমাদের পররাষ্ট্রসচিবের সফরের সময় আমরা বলেছি, আমরা

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে চাই। আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের জন্য এই সম্পর্ককে আরও ভালো করতে চাই। তাই আমাদের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত থাকবে।”

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। মিশ্রী বাংলাদেশকে একটি “গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, উন্নতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক” রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতি ভারতের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি পারস্পরিক আস্থা, সম্মান ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক তৈরি করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন। ব্রিফিংয়ে ভারতীয় মুখপাত্র আরও জানান, সীমান্তে অপরাধ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের

সহযোগিতামূলক অবস্থান আশা করে ভারত। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। আমরা বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সীমান্তে বেড়া সংক্রান্ত বিষয় পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি।

সীমান্তে অপরাধমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে চোরাচালান, পাচার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্ত আলো, প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম এবং পশুরোধক বেড়া স্থাপন আমাদের পদক্ষেপের অংশ।

তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করি, এ বিষয়ে পূর্বে যে সমস্ত সমঝোতা হয়েছে তা বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করবে এবং সহযোগিতামূলক মনোভাব গ্রহণ করবে।”

সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় বর্মাকে ডেকে সীমান্তে বেড়া স্থাপন নিয়ে আপত্তি জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকে তলব করে এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে।

ভারত জানায়, সীমান্ত সুরক্ষায় প্রোটোকল ও সমঝোতা মেনেই কাজ করছে তারা। অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল ও পাচার রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *