বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সং’ঘর্ষে!

হলের সিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ইতিহাস ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৩ জন আহত হয়েছেন।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সাংবাদিক সোয়েব আকতার সাকিব, ইতিহাস বিভাগের মুন্না বিশ্বাস ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ইমরান হোসেন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টায় প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষ এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেরোবির বঙ্গবন্ধু হলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল সুমনের সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী শুভর সঙ্গে সিট পুনঃবণ্টন নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে প্রথমে হলে বাগবিতণ্ডা হয়।

এ নিয়ে এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে বিষয়টি মীমাংসা করতে গিয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এদিকে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষ লাঠি ও ইটপাটকেল একে অপরের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নেন। অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষ চালিয়ে যান।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বডি ও ছাত্র উপদেষ্টা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, খুবই ছোট্ট একটি বিষয়। সোহেব আকতার সাকিব এই বিষয়টার মীমাংসা করতে গেলে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হন ও হামলা করে।

হামলাকারীরা হলেন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন বিভাগের সাইদ, সবুজ, শুভ, পলাশ, রানা। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, মূলত ঘটনা আমার এক ইমিডিয়েট সিনিয়র এবং সিএসই বিভাগের ১৩ ব্যাচ এর শিক্ষার্থীর মধ্যে। তাদের সিট বদলা বদলি নিয়ে তাদের ভিতরে রেসারেসি হয়। এ সময় ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী এসে আমাদের সবার সাথে খুবই উগ্র আচরণ করে।

এ করে আমাদের সকল শিক্ষার্থী চটে যায় এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড.মো.ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। জড়িতদের মধ্যে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *