ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে। আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দমকল কর্মীরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার (৮ জানুয়ারি) এই খবর জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলটাডেনার শহরতলীর ১০,৬০০ একর এলাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলসের প্রায় ১,৫০০ ভবন আগুনে পুড়ে গেছে। প্রায় ১ লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
বিশেষ একটি সূত্র জানায়, কমলা হ্যারিসসহ অসংখ্য ধনীদের বাড়িঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। লস অ্যাঞ্জেলস ফায়ার সার্ভিস বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোনি জানিয়েছেন, পালিসেডস ও ইটঁন এলাকায় দু’টি দাবানলে ৭ হাজারের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে। পালিসেডসের আগুনে বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন। আবহাওয়াবিদ ড্যানিয়েল সোয়াইন জানিয়েছেন, প্রবল বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
ম্যারোনি বলেছেন, ২৪ ঘণ্টা পার হলেও দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসেনি বরং আরও অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকজন বাড়ি-গাড়ি ফেলেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই পরিস্থিতিকে হলিউডের সিনেমার দৃশ্যের সঙ্গে তুলনা করছেন।
কেউ কেউ এটিকে ষড়যন্ত্র বলেও অবিহিত করেছেন। তবে এ পর্যন্ত ষড়যন্ত্রের কোনো আলামত কেউ তুলে আনতে পারেনি। এ নিয়ে চলছে সারা বিশ্বে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক নেটিজেনরা বলছেন, যারা পুরো পৃথিবীকে শাসন করে, তাদের এখানে কেন এভাবে আগুন ঝলছে। আসলে তারা এখন নিজেরা ঠিক হয়ে আসার সময় হয়েছে। কারণ তারা অন্যায়ভাবে অনেক মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর শাসন করেছে।
তারা আরও বলেন, অসংখ্য মুসলিম রাষ্ট্রে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগিয়েছে এই আমেরিকা। এছাড়া লাখ লাখ মুসলিমকে বিনা অপরাধে হত্যা করেছে তারা। এগুলো দেখে আমরা কেদেছি। তবে কিছু বলতে পারিনি। সর্বশেষ ফিলিস্তিনে তাদের ইন্ধনে ইসরায়েল যেভাবে একের পর এক মুসলিমদের হ’ত্যা করছে। এগুলো দেখে বিশ্বের সবাই কান্না করে। একমাত্র আমেরকিা কয়েকটি মিত্র রাষ্ট্র বাদে সবাই এ নিয়ে কথা বলে না।
নেটিজেনরা বলেন, আমেরিকার অনেক অত্যাধুনিক যন্ত্র থাকার পরও আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না, এর মানে বুঝার বাকি নেই যে- এটি মহান আল্লাহর পক্ষে থেকে হয়েছে। কাজেই আল্লাহ ছাড় দেন, তবে ছেড়ে দেন না। আমেরিকা যদি এই আগুন থেকে শিক্ষা না নেয় তাহলে লাখো মুসলিমদের চোখের কান্নায় অভিশাপ হয়ে একদিন আমেরিকা ধ্বংস হবে।
নেটিজেনরা আরও বলেন, আমরা চাই আমেরিকা সংশোধন হোক। যারা এক অস্ত্রের সাহায্যে কয়েকটি রাষ্ট্রকে একসাথে ধ্বংস করতে পারে, আজ তারা নিজেদের ভূখণ্ডে আগুন নেভাতে অক্ষম। এ থেকেই তাদের বুঝা দরকার একমাত্র আল্লাহর কাছে সবাই পরাস্থ হতে হয়। কুরআনে আছে, আল্লাহ ছাড় দেন, তবে ছেড়ে দেন না।