‘অতিথি দেবতার মতো’, এই নীতিতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত

মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত সোমবার দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। এছাড়া তার পাসপোর্ট বাতিল করে সরকার। এর একদিন পরই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ায় ভারত।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেন তিনি। বিচারের মুখোমুখি করতে তাকে ইতিমধ্যে নোট ভার্বালের মাধ্যমে ফেরত চেয়েছে ঢাকা। তবে ফেরতের কোনো প্রক্রিয়া শুরু না করে; উল্টো তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে দিল্লি।

ভারতের সরকারি একটি সূত্র বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ কে জানিয়েছে, হাসিনা যেন দীর্ঘদিন ভারতে থাকতে পারেন (দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া) সেজন্য তার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র সরকার। তিনি জানান, অতিথিদের দেবতার মতো দেখার যে নীতি ভারতের রয়েছে, সেটি অনুযায়ী বিশেষ ব্যবস্থায় ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির কাজটি করা হয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালে তার বাবা শেখ মুজিবর রহমান সেনা সদস্যদের হাতে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন তিনি ভারতে অবস্থান করেন।

গত বছরের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। তবে শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী হামলা চালালে ও গত ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ

হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এটি হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলন দমাতে কয়েকশ মানুষকে গুলি করা করে হত্যা করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত ৫ আগস্ট সাধারণ মানুষ হাসিনার সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়েন। জনরোষ থেকে বাঁচতে

ওইদিন পালিয়ে দিল্লি চলে যান শেখ হাসিনা। ভারত তাকে অতিথির সম্মান দিলেও; বাংলাদেশের মানুষ চায় তাকে ফিরিয়ে এনে যেন বিচার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *