হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। উপদেষ্টা হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ গণমাধ্যমকে জানান, তার বাবা হঠাৎ করে মেঝেতে পড়ে যায়। এরপরে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হৃদ্রোগে হাসান আরিফের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পরই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ে হাসান আরিফের একান্ত সচিবের দায়িত্বে থাকা মো. নাছির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ল্যাবএইড হাসপাতালে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে হাসান আরিফ মৃত্যুবরণ করেন।
এ এফ হাসান আরিফ ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এর উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।
এ.এফ. হাসান আরিফ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ এর দশকে এ.এফ. হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি অক্টোবর ২০০১ সাল থেকে ২৮ এপ্রিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতারণামূলক প্রশংসাপত্র ব্যবহারকারী বিএনপি-সমর্থক বাংলাদেশ হাইকোর্টের একজন বিচারকের লাইসেন্স প্রত্যাখ্যান করেন। তাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আইনজীবীদের সমর্থন করতে ব্যর্থতার কারণে তিনি চার বছর দায়িত্ব পালন করে পদত্যাগ করেন।
তিনি বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।