চলমান পরিস্থিতিকে আরো গতিশীল করতে এবং প্রশাসনের সংস্কারে এবার বড় ধরনের রদবদল হতে যাচ্ছে ইউনূস প্রশাসনে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ৬ মাস পার করেছে।
এই কয়েক মাসে শেখ হাসিনা প্রশাসনের রদবদল উল্লেখযোগ্য সব কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল এবং বঞ্চিতদের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত এসেছে একের পর এক। এরপরেও স্থিত হয়নি প্রশাসন। এবার আরো রদবদল হতে যাচ্ছে ইউনূস প্রশাসনে।
ইউনূস সরকারের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনিক সংস্কার। প্রতিদিনই প্রশাসনের কোনো না কোনো ক্ষেত্রে বিভিন্ন দাবিতে চলছে আন্দোলন। হাসিনা সরকারের দোসররা বড় বড় পদে বসে আছেন বলেই তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের প্রশাসনিক
জটিলতা,এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রশাসন, পুলিশ, মানবাধিকার,অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলাসহ নানা ক্ষেত্রে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলেও তাদের
বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেনি বর্তমান সরকার। পদে পদে জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রশাসনের প্রায় ৫ শতাধিক কর্মকর্তাকে বদলি করে বেশকিছু সচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং কয়েকজন সচিবকে চাকরি থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়েছে।
কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসনে ফিরিয়ে এনে পদোন্নতি দিয়ে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাতেও প্রশাসনের শৃঙ্খলা ফিরেনি। তবে গত ১ সেপ্টেম্বর সব সরকারি কর্মচারিকে সম্পত্তির হিসাব জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তন এসেছে। উপ-সচিব, যুগ্ন-সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়া পুলিশ বাহিনীকে সাধারণ মানুষের আস্থায় আনা সম্ভব হয়নি এখনো।
পুলিশ বাহিনীও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শত চেষ্টা করেও সাবলীল হতে পারছে না বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুলিশ বাহিনীর আস্থা ফিরিয়ে আনাও বর্তমান সরকারের বড় একটি চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বাহিনীতেও হচ্ছে রদবদল।
সূত্র: নাগরিক টিভি