বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারতের হাত, প্রমাণ চাইলেন কমিশন প্রধান

স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মন্তব্য করেছেন, বিডিআর বিদ্রোহ কোনো দাবি আদায়ের বিদ্রোহ ছিল না, বরং এটি দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার একটি ষড়যন্ত্র ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, কমিশন স্বচ্ছভাবে তদন্ত পরিচালনা করে তিন মাসের

মধ্যে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করবে, এবং অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে। ১৫ বছর আগে পিলখানা বিডিআর সদরদপ্তরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের সময় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন

নিহত হন, এবং ৫৫ জন গুরুতর আহত হয়ে বেঁচে ফিরে আসেন। এই হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিচারণে চরমভাবে নির্যাতিত এক survivor বলেন, “গলা টিপে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু মৃত্যুর কাছ থেকে আমি ফিরে এসেছি।”

সম্প্রতি ডিসেম্বরে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিশন শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করে, যেখানে উঠে আসে তাদের কঠিন স্মৃতি এবং সঠিক বিচার না পাওয়ার ক্ষোভ। শহীদ পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন,

এই হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র তাদের প্রিয়জনের হত্যাই ছিল না, বরং এটি দেশের সামরিক বাহিনী এবং সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত ছিল। এক শহীদ পরিবারের সদস্য বলেন, “আমাদের বাবার হত্যার সময় যদি মানুষ প্রতিবাদ করত,

তাহলে এতগুলো অফিসার নৃশংসভাবে প্রাণ হারাত না।” তারা দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন কোনোভাবে তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

এদিকে, সাত সদস্যের তদন্ত কমিশনের মধ্যে একজন সদস্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেছেন, বিচার বিভাগের এক সদস্য যিনি নিজের ভাইদের হত্যার শিকার হয়েছেন, তার পক্ষ থেকে তদন্ত হওয়া সম্ভব নয়।

কমিশনের সভাপতি জানিয়েছে, তদন্ত স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হবে এবং তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেছেন, “আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং সকলের সহযোগিতা নিয়ে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *