কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় পর গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক কমিটির সারজিস আলম জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান। গতকাল শনিবার রাতে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ দাবি করেন। ফেসবুক পোস্টে খোমেনী উল্লেখ করেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে হামলার নেপথ্যে জাতীয়
নাগরিক কমিটির সারজিস আলম জড়িত। হামলাকারীরা এক সময় যুবদল করলেও বর্তমানে সারজিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সারজিস আমাদের নাগরিক সমাবেশ বানচালে জড়িত থাকার অডিও ক্লিপস আমি এক ছাত্র উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছি।
সারজিস কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে বারবার ষড়যন্ত্র করেও আমাদের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়।
তিনি আরো লেখেন, সারজিস ৫ আগস্টের পর বিপ্লবী সাজলেও আমরা তার বিরোধিতা অব্যাহত রাখি। সে সচিবালয়সহ বহু জায়গায় নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত ছিল। এ নিয়ে আমরা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সরকারের কাছে আপত্তি জানাই।
পরবর্তী সময়ে ছাত্রদের একজনের কারণে তার বিষয়ে ছাড় দেই। সারজিস হয়তো ভাবছে, তার নরমালাইজেশন হয়ে যাওয়ায় সে জবাবদিহির ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। না ভাই এমনটি মনে করো না। আমরা সমর্থন প্রত্যাহার করলে
তোমরা কয়দিন টিকতে পারবে তা গুনে দেখ। আমরা ছাত্রদের ব্যর্থ দেখতে চাই না বলে তোমাদের সঙ্গে বিরোধিতায় যেতে চাই না। কিন্তু এর মানে এও নয় যে, দলগত ছাড় সবার কপালে জুটবে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, তুমি সাবেক ছাত্রলীগ, তুমি এত শক্তিশালী হলে শিবিরের প্রশংসায় গদগদ হতে না। কিন্তু তুমি ছাত্রলীগের দুর্বলতা ঢাকতেই গদগদ করো। কিন্তু তুমি হয়তো জানো না শিবিরকে ম্যানেজ করলেও কারও কারও কাছে শক্তিশালী
হওয়া যায় না। জুলাই বিপ্লবের নেপথ্যের শক্তি কাউকে না চেনো, সমস্যা নেই। আমাদের সঙ্গে মৈত্রী রাখারও দরকার নেই। কিন্তু কোন সাহসে শহীদ পরিবারদেরকে আমাদের কর্মসূচিতে আসতে বাধা দিয়েছ?
কেন আবার হামলা করতে অস্ত্রসহ লোক পাঠিয়েছ? পিস্তল নিয়ে আসলো, ছুরি আনলো কেন? এ কাজ কি লিগ্যাল? কোথায় পেয়েছ এই সন্ত্রাসের এখতিয়ার? আমরা তোমাকে জবাবদিহি ও বিচারের মুখোমুখি করবো ইনশাআল্লাহ।