বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েমের ফেসবুক আইডি সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামের একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এমন পরিস্থিতে, সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ -সহ অনেকেই তাদের ফেসবুক আইডি নিজ উদ্যোগে ডিঅ্যাক্টিভ করেছেন। বুধবার সন্ধ্যা থেকে একে একে আইডিগুলি ডিজেবল হতে শুরু করে।
দেশীয় একটি সাইবার নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত সাইবার হামলার অংশ। আইডি পুনরুদ্ধারে মেটার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে আইসিটি বিভাগ।
এদিকে, আওয়ামী লীগের ডিজিটাল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘সিআরআই’ এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে তৃতীয় পক্ষের হ্যাকারদের সহায়তায় হামলার অভিযোগ করেছে একটি সাইবার নিরাপত্তা দল।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ফোনালাপে এক হ্যাকার দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে নয়, বরং উপদেষ্টা ফারুকীকে অপসারণের জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি সতর্ক করেছেন, যদি তাদের দাবি না মানা হয়, তবে বাংলাদেশে বড় ধরনের সাইবার আক্রমণ হতে পারে এবং তার জন্য দায়ী থাকবেন উপদেষ্টা আসিফ ও নাহিদ।
হ্যাকাররা আরও দাবী করেছে যে, সচিবালয়ের আগুনের ঘটনা জনগণের সামনে পরিষ্কার করতে হবে, জুলাই বিপ্লবের সাইবার যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হবে এবং রেমিটেন্স যোদ্ধাদের অবদানকে সম্মান জানাতে হবে।
তারা সরকারি সাইবার সিকিউরিটি বাড়ানোর এবং তরুণ সাইবার স্পেশালিস্টদের কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছে।