বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে সেনাপ্রধান বলেছেন, “ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক। আমরা অনেক ক্ষেত্রে ভারতের ওপর নির্ভরশীল, আবার ভারতও আমাদের থেকে
বিভিন্নভাবে সুবিধা পাচ্ছে। তাদের অনেক মানুষ বাংলাদেশে কাজ করছে, আবার বাংলাদেশ থেকে অনেকে চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। আমরা তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনছি। কাজেই বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার ব্যাপারে ভারতের বিশেষ স্বার্থ রয়েছে।”
বুধবার দৈনিক প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “যেকোনো দেশ সব সময় অন্য দেশ থেকে সুবিধা পেতে চাইবে। এটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু সেই সুবিধা ন্যায্যতার ভিত্তিতে হতে হবে।
আমাদের জনগণ যেন কখনো মনে না করে, ভারত বাংলাদেশের ওপর কর্তৃত্ব করছে বা এমন কিছু করছে, যা আমাদের স্বার্থের পরিপন্থী। সেনাপ্রধান বলেন, “আমি আমার প্রতিবেশীর স্বার্থের প্রতি গুরুত্ব দেব।
একইভাবে আমার প্রত্যাশা থাকবে, প্রতিবেশীও আমার স্বার্থকে সমান গুরুত্ব দেবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও মিয়ানমার সীমান্তে যেন কোনো অস্থিতিশীলতা তৈরি না হয়। সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের হত্যা বন্ধ করতে হবে।
আমরা ন্যায্য হিস্যার পানি চাই, যা আমাদের অধিকার। সম্পর্কটা ন্যায্যতার ভিত্তিতে বজায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় আমাদের এই নীতি চমৎকার।
ভারসাম্য রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও সেনাপ্রধান মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “চীন আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। তাদের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
তাদের সমরাস্ত্র সাশ্রয়ী, যা আমাদের বিমান ও নৌবাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “দেশ এখন জটিল ও কঠিন একটি সময় পার করছে।
এই মুহূর্তে নিজেদের দাবিদাওয়াগুলো সীমিত রাখা উচিত। সরকারকে বিরক্ত না করে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করা যাবে।
সূত্র: প্রথম আলো