ক্রীড়া উপদেষ্টা ও দুই সমন্বয়কের ফেসবুক আইডি উধাও

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের ফেসবুক আইডি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ছাড়া ঢাবি শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম, ছাত্রনেতা সাইয়েদ আবদুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও অনেকের ফেসবুক আইডিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক বলেন, ‘তাদের কারও আইডি ডিজেবল বা নষ্ট হয়নি। আইডিগুলোতে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। তাই তারা আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন।’

এ বিষয়ে সাইয়েদ আবদুল্লাহ জানান, গতকাল বিকেলে হঠাৎ একটি মেসেজ পেলাম যে আমার আইডিটি ডিজেবল করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে আইডিতে গিয়ে সিকিউরিটি নিশ্চিত করে সেটি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। কিন্তু পরে দেখি আইডিটা সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাইবার টিম এ ঘটনায় জড়িত আছে দাবি করে তিনি বলেন, আইডি সাসপেন্ড হওয়ার পর তাদের বিভিন্ন পেজ থেকে আমরা যারা আন্দোলনে ছিলাম তাদের টার্গেট করে এটা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

এ জন্য আজও অনেকের আইডি সাসপেন্ড হয়েছে জানতে পেরেছি। ফেসবুকে রিপোর্ট করে আওয়ামী লীগের সংঘবদ্ধ চক্র এটি করেছে। এ ঘটনার পর বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক নেতা তাদের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভেট করে রেখেছেন।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম তার একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বিশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে আমার আইডিটি ডিঅ্যাকটিভ করা হচ্ছে।’

এদিকে ‘Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce’ নামে একটি পেজ থেকে বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত থাকা অনেকের আইডি ও পেজ ডিজেবল করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

এই তালিকায় সাইয়েদ আবদুল্লাহ ও বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি প্রমুখের আইডি ডিজঅ্যাবল করার দাবি করা হয়েছে।

অন্য আরেকটি স্ট্যাটাসে তারা দাবি করে বলছে, ‘হাসনাত আবদুল্লাহর আইডি উড়িয়ে দেওয়ার পর ভয় পেয়ে তিনি ডিজেবল করে রেখেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *