খালেদ এবার হাসনাতকে বললেন, মাস্তানি দেখাবেন? পেলেন যে সমুচিত জবাবও

লাইভ টকশো অনুষ্ঠানে এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে কড়াভাবে আক্রমণ করে ফের তোপের মুখে পড়লেন আলোচিত উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীন। সম্প্রতি একটি টকশো ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

টকশোতে হাসনাতকে আক্রমণ করে খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, আপনি কি মাস্তানি দেখাবেন? খালেদের এমন আক্রমণের সমুচিত জবাবও দিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই আহ্বায়ক।

পাঁচই আগস্ট বৈষম্য বিরোধীদের ছাত্র আন্দোলনের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। বৈষম্য বিরোধী দল আগামীতে কি তারা রাজনৈতিক দল করে নির্বাচনে আসবে সে বিষয়ে হাসনাত কথা বলেন টকশোতে।

খালেদ একপর্যায়ে বলেন, সুশীলতার বিপরীতটা কী? আপনি সুশীলতা দেখাইতে পারবেন না কী দেখাইতে পারবেন, মাস্তানি? সমুচিত জবাব দিয়ে হাসনাত বলেন, আমরা সুশীলতাও না, মাস্তানিও দেখাবো না। ৫ই আগস্টের পূর্বে যেটা বাংলাদেশের

প্রশ্নেযেটা হওয়া উচিত সেটাই আমরা দেখাবো। এবার খালেদ বলেন, আপনার মনে হওয়া আর আমার মনে হওয়া আলাদা হলে কোনটা স্ট্যান্ড করবে? হাসনাত তখন বলেন, মনে হওয়া দিয়ে তো হবে না। একটা বিষয় আছে, ন্যয্যতার দিক দিয়ে।

খালেদ বলেন, কে এটা ন্যয্য ঘোষণা করবে? হাসনাত আব্দুল্লাহ নাকি ধরেন অন্য যে কেউ? খালেদের এই পেঁচালপাড়া প্রশ্নের উত্তরে হাসনাত বলেন, তাহলে একটা ভোট হোক। সময় টেলিভিশনে আমার যাওয়াটা ঠিক ছিল নাকি না?- সে ইস্যুতে ভোট হোক। দেখেন মানুষ কী বলে।

সময়টিভিতে যাওয়া আপনার ঠিক ছিল কিনা খালেদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, আমি মনে করি আমার যাওয়াটা ঠিকই ছিল। আমি গিয়েছি আমাদের উদ্বেগটা জানানোর জন্য। কিন্তু চাকরিচ্যুতির প্রক্রিয়াটা ভুল ছিল।

আমি কাউকে চাকরি থেকে বাদ দিতে বলি নাই। সেখানে যাওয়া ঠিক ছিল কিনা তানিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।খালেদ বলেন, আমি হাসিনার মত এরকম কাউরে চাই না যে, সে একইসাথে নেতা, কাজী, প্রধান, ডাক্তার।

এরকম সব দায়িত্ব যে নিজে নিজে নিয়ে নিবে। আর এই ছোট ছোট হাসিনা চাই না। হাসনাত বলেন, আমরাও চাই না সবকিছু সেন্ট্রালাইজড (এককেন্দ্রিক) হয়ে যাক। আমরা চাই প্রতিষ্ঠানগুলো ফাংশন করুক। হাসনাতকে যেন সময় টেলিভিশনে না

যাইতে হয় আমরা ওইটা চাই। কোন একটা ঝামেলা হইলে সেখানে হাসনাতকে কেন যাইতে হবে। কারণ ওইখানে যে প্রতিষ্ঠানটা ফাংশন করতেছে না। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলাকে এমনভাবে কইরা দিয়া গেছে যেখানে কোন প্রতিষ্ঠানই ফাংশন করতেছে না।

খালেদ মহিউদ্দিন যেন দেশে বইসা ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে পারে। এবার খালেদ বলেন, পলিটিক্যাল পার্টিগুলি যেমন করে চান্দা নেয় একটা রশিদ দেয় বা দেয় না। আপনারাও যখন কোনো ব্যয় করেন সেগুলির জন্য কিভাবে টাকা নেন?

এই প্রশ্নের জবাবে সুন্দর করে ব্যাখ্যা দিয়ে খালেদকে বুঝিয়ে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রোগ্রাম ও ব্যয়গুলো কিভাবে করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *