যেসব ভুলের কারনে ই-পাসপোর্ট পেতে দেরি হয়

বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করেছে বাংলাদেশ। এখন যে কেউ ঘরে বসে নিজেই নিজের ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা থাকলেও অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পাসপোর্ট পান না। আবেদনে ভুল হলে এমন বিলম্ব হতে পারে।

নামের ক্ষেত্রে ভুল
পাসপোর্ট আবেদনের সময় অনেকেই ‘গিভেন নেইম ও সারনেইম’ নিয়ে গুলিয়ে ফেলেন। কারো নাম যদি ৩-৪ শব্দের মধ্যে তার নামের প্রথম অংশগুলো গিভেন নেইমে ও শেষের একশব্দ সারনেইমে দিতে হবে। তবে অনেকেই ৪ শব্দের নামে গিভেন নেইমে দুই শব্দ ও সারনেইমে ২ শব্দ দেন। এ কারণে পাসপোর্ট ইস্যু হয় না।

এনআইডির সঙ্গে আবেদনপত্রের নাম-ঠিকানায় অমিল
অনেক আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) নামের বানানে অমিল থাকে। পাসপোর্ট করতে হলে এনআইডি জমা দিতে হয়। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে এনআইডির সার্ভার সংযুক্ত।

যদি আবেদনপত্রের নাম ও এনআইডির নামের বানানে অমিল থাকে তাহলে ওই পাসপোর্ট আর ইস্যু হয় না। সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করে আবারও আবেদন করতে হয়।

নামের সঙ্গে পদবি যুক্ত
অনেকে নামের নামের সঙ্গে বিএসসি, পিএসসি, পিপিএম, এমডি ইত্যাদি টাইটেল যুক্ত করেন। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে এগুলো থাকে না। তাই এসব টাইটেল পাসপোর্টের আবেদনপত্রে উল্লেখ করলে নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট ইস্যু করা সম্ভব হয় না। এসব টাইটেল বাদ দিয়ে আবার আবেদন করলে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদনের বিলম্ব
নতুন পাসপোর্টের করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন। প্রতিটি পাসপোর্ট অনুমোদন পাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ইতিবাচক তদন্ত প্রতিবেদন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, পুলিশ প্রতিবেদন পেতে দেরি হওয়ার কারণে বর্তমানে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করতে কিছুটা সময় লাগে। একটি সাধারণ পাসপোর্টের আবেদনের ৭ দিনের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মাঝে মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মাসখানেকের বেশি সময় লেগে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *