৬ বছরের ব্যবধানে ২২ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল আলম ও তার স্ত্রী কিশোরগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষিকা অপর্ণা রানীদাসের বিরুদ্ধে সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুটি মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে হঠাৎ করে ১০ কোটি টাকার জমা ও উত্তোলনের ঘটনায় সন্দেহ তৈরি হলে তদন্তে নামে দুদক। তদন্তে বেরিয়ে আসে, মাত্র ৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবী রাশেদুল আলম নিয়মিত পাঁচ তারকা হোটেলে যাতায়াত করতেন এবং দেড় লাখ টাকা মূল্যের ঘড়ি ব্যবহার করতেন।

তাদের ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনের পরিমাণ অন্তত ২২ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে দুদক। শেয়ারবাজারে প্রায় ৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চার কাঠা জমি কেনা এবং ছয়তলা বাড়ি নির্মাণের নকশা তৈরির প্রমাণও মিলেছে।

অন্যদিকে, সরকারি কলেজের শিক্ষিকা হয়েও অপর্ণা রানীদাসের নামে ৬০ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠিকাদারদের সঙ্গে আতাত করে সরকারি প্রকল্পে লুটপাটে জড়িয়ে পড়া প্রকৌশলীদের একটি চক্র দায়ী। তাদের মতে, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ‘পারসেন্টেজ ভাগ’ বা কমিশন সংস্কৃতি দুর্নীতিকে আরও প্রশ্রয় দিচ্ছে। এইসব অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দৃশ্যমান শাস্তির উদাহরণ না গড়লে দুর্নীতির প্রবণতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।

বর্তমানে রাশেদুল ও তার স্ত্রী শিক্ষা ছুটিতে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছেন, ফলে তাদের বক্তব্য সংগ্রহ করা যায়নি। ইতোমধ্যেই দুদক রাশেদুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।

তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/EffHBXD8o2o?si=b6t53kG16YrwOtOS

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *