পারভেজের ঘটনায় যে শাস্তি দেওয়া হলো সেই আলোচিত দুই ছাত্রীকে

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২২) নিজ ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, একটি হাসির প্রতিক্রিয়ায় বহিরাগতদের দ্বারা সংঘটিত হামলার কারণেই প্রাণ হারাতে হয়েছে তাকে।

মর্মান্তিক এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, ঘটনার দিন পারভেজ ও তার বন্ধুরা ক্যাম্পাসসংলগ্ন গলিতে চা ও সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। সেসময় সেখানে থাকা ইউনিভার্সিটি অফ

স্কলার্সের দুই ছাত্রী তাদের দিকে দেখে কিছুটা হাসাহাসির অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি থেকে বিরোধ তৈরি হয়। এই দুই ছাত্রী তাদের পরিচিত কয়েকজন যুবককে ডেকে আনেন, যারা পরে পারভেজের উপর হামলা চালায় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের

বরাতে জানা গেছে। হামলার শিকার হয়ে পারভেজ দৌড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট পর্যন্ত আসেন, কিন্তু তখনই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডে নাম আসা মাহাথি মেহরাব ও আবু জাফর গিফেরি, যারা ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্সের শিক্ষার্থী, তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার জানান, “ঘটনার পর অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে দুই শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত রিপোর্টের আগে পর্যন্ত তাদের ছাত্রত্ব স্থগিত থাকবে।”

প্রক্টোরিয়াল কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকেই লিখেছেন, “একটি হাসি কি কারো প্রাণ নেয়ার কারণ হতে পারে?” কেউ কেউ বলছেন, এটি সমাজে বেড়ে ওঠা সহিংস সংস্কৃতির বাস্তব প্রতিফলন।

নিহত পারভেজের পরিবার ও সহপাঠীরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *