
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান হারাম আল শরীফে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, আল আকসা মসজিদ এবং এর আশেপাশের স্থান সম্পূর্ণরূপে মুসলমানদের এবং এটি অক্ষত থাকতে হবে।
gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শুক্রবার (১৮ এপ্রইল) ইস্তাম্বুলে এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, আল আকসা মসজিদ এবং কুব্বত আল সাখরা (পাথরের গম্বুজ)-সহ হারাম আল শরীফ একটি অবিভাজ্য সমগ্র এবং এর ১৪৪ একর এলাকা সম্পূর্ণরূপে মুসলমানদের।
তিনি ঘোষণা করেন, আল আকসা তুরস্কের জন্য একটি ‘রেড লাইন’ বা ‘লাল রেখা’। এটি চিরকাল একই থাকবে।
এরদোয়ান ইসরায়েলকে পবিত্র স্থানের পবিত্রতা ও ঐক্যের জন্য হুমকিস্বরূপ সমস্ত উস্কানি এবং কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি ফিলিস্তিনিদের অধিকার এবং ইসলামী পবিত্র স্থানগুলোর প্রতিরক্ষার প্রতি অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের অঞ্চলে নিপীড়ন ও অনাচারের মুখে তুরস্ক কখনো চুপ থাকেনি। আমরা এখনো চুপ থাকব না।
‘ফিলিস্তিনকে রক্ষা করা মানে মানবতা, ন্যায়বিচার এবং শান্তিকে রক্ষা করা’
এরদোয়ান গাজার ওপর ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে নৃশংসতার প্রতি বিশ্বব্যাপী নীরবতাকে ‘নৈতিক পতন’ বলে অভিহিত করেন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তুরস্কের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো যখন নীরব, তখন সাংবাদিকদের হত্যা করা হচ্ছে। মানবাধিকার রক্ষাকারীরা যখন নীরবতায় দেখছে, তখন শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে।
‘পশ্চিমারা তিনটি বানরের ভূমিকা পালন করেছে’
এরদোয়ান পশ্চিমা শক্তিগুলোর সমালোচনা করে বলেন, এটি ‘ভণ্ডামিপূর্ণ নিষ্ক্রিয়তা’। যারা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা, অধিকার, আইন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি তাদের অঙ্গীকারের গর্ব করে আসছেন, তারা ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলের গণহত্যা নীতির মুখোমুখি হয়ে ‘তিন বানরের’ ভূমিকা পালন করছেন।
তিনি এই সংকটে নীরব থাকা দেশগুলোর দ্বিমুখী নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন : ‘পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো, যারা ছোটখাটো ঘটনার জন্যও নিষেধাজ্ঞার অস্ত্র ব্যবহার করে, আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি – ইসরায়েলের ক্ষেত্রে আপনি এখন কোথায়?’