চীন করবে তিস্তা সমস্যা সমাধান, আসছে গেম চেঞ্জার প্রকল্প

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গেম-চেঞ্জার হিসেবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তার দেশের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন।

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের অনুমতি পাওয়া মাত্রই চীন এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত।” রাষ্ট্রদূতের এই ঘোষণা বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষি, সেচ ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি

ব্যবস্থাপনা উন্নত করে উত্তরাঞ্চলের কৃষি উৎপাদন বাড়ানো, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং পানির ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। চীনা রাষ্ট্রদূত এই প্রকল্পকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রূপান্তরকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

সেমিনারে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিকে “আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন” বলে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মুক্ত বাণিজ্যের এই যুগে একতরফা শুল্ক আরোপ করা কাম্য নয়।

তার এই মন্তব্য বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতিতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে চীন যেকোনো বিষয়ে সংলাপে বসতে প্রস্তুত, যদি তা আস্থা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে হয়।

সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক চীন সফর এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠককে দুদেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন,

রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের অব্যাহত সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “রাখাইনে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় চীন তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।”

চীনা রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্য ও কারিগরি শিক্ষা খাতে নতুন সহযোগিতার ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক সম্পর্কের

এই নতুন অধ্যায়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ছাড়াও আরও বেশ কিছু অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের সম্পৃক্ততা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র:https://youtu.be/yYS7Fgbpt8s?si=tyGp7ehG3bzwaCGa

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *